জকসু নির্বাচন ২০২৫-এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে সভায় ক্রিয়াশীল সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত রয়েছেন। এতে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতারা।
শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, ‘আমরা ডাকসু, জাকসু, চাকসু, রাকসু নির্বাচন দেখেছি। সেখানে তফসিল ঘোষণার পরে তারা ২ মাস, পক্ষান্তরে ৩ মাস, এমনকি ৪ মাস পর্যন্ত সময় পেয়েছে। কিন্তু আমাদের নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে ২৭ নভেম্বর।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সাংগঠনিকভাবে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি রয়েছে ক্যাম্পাসে। এরকম হলে আমরা বিধিমালা অনুযায়ী ক্যাম্পাসে কোনো প্রোগ্রাম করতে পারব না। এজন্য বিধিমালায় পরিবর্তন আনতে হবে।’
ছাত্রদলের আহবায়ক আরও বলেন, ‘নির্বাচনের ৯৬ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য অনুমতিক্রমে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দিতে হবে। নির্বাচনের সময়সীমা পিছিয়ে নিতে হবে।’
বিষয়টি নিয়ে ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রশাসন জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছিল, সে অনুযায়ী নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের নৈতিক দায়িত্ব হলো নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজন করা।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছে পৌছানোর বিষয়টি বিবেচনায় ৪৮ বা ৯৬ ঘন্টা পর্যন্ত সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতির দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে নির্বাচন পেছানো যাবে না।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য, সব শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছানোর জন্য এবং সার্বিক দিক বিবেচনায় নির্বাচনের সময় পেছানোর বিষয়টি বিবেচনায় রাখা যেতে পারে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন-২০২৫-এর প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনার এবং ক্রিয়াশীল ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাংবাদিকরা।
Leave a Reply