1. tanvir.love24@gmail.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  2. news@nagornews24.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : নিজস্ব প্রতিবেদক
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০৯ অপরাহ্ন

বিজয় দিবসে সংস্কৃতির মিলনমেলা: অনুপম সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৫

  • সময়: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ১৪ বার

আবিদ উল্যাহ জাকের: সংস্কৃতির উন্মুক্ত আকাশে আমরা অনুপম—এই স্লোগানকে ধারণ করে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য আয়োজন করেছে অনুপম সাংস্কৃতিক সংসদ।

মহান বিজয়ের উল্লাসে ১৬ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকার ঐতিহ্যবাহী গেন্ডারিয়া মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ‘অনুপম সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৫’। বিজয়ের চেতনায় ভরপুর এই অনন্য সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো প্রাঙ্গণ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৬ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ড. আব্দুল মান্নান, ঢাকা-৪ আসনের প্রার্থী জয়নুল আবেদিন।
অনুপম সাংস্কৃতিক সংসদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আবির, বর্তমান চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন রুবেল, ভাইস-চেয়ারম্যান হাফেজ দেলোয়ার হোসেন, পরিচালক ইয়াছিন আরাফাত, সহকারী পরিচালক শিল্পী জুবায়ের হোসেনসহ অনুপম সাংস্কৃতিক সংসদের উপদেষ্টাবৃন্দ ও বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত চলা এই সাংস্কৃতিক উৎসবের সূচনা হয় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে। এরপর একে একে পরিবেশিত হয় হৃদয়ছোঁয়া ইসলামী সংগীত, দেশাত্মবোধক গান, নাটিকা ও কৌতুক পরিবেশনা। শিল্পীদের সাবলীল ও প্রাণবন্ত পরিবেশনায় দর্শক-শ্রোতারা বারবার করতালির মাধ্যমে তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুপম সাংস্কৃতিক সংসদের পরিচালক ইয়াছিন আরাফাত বলেন, বিজয়ের চেতনাকে ধারণ করে সুস্থ ও ইতিবাচক সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে সমাজে মূল্যবোধ জাগ্রত করাই অনুপম সাংস্কৃতিক সংসদের মূল লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতেও দেশপ্রেম, নৈতিকতা ও মানবিক চেতনা সমুন্নত রাখতে এ ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজন অব্যাহত থাকবে।

বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয় ঐক্য ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।

সব মিলিয়ে বিজয় দিবসের এই আয়োজন রাজধানীর সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক অনন্য ও স্মরণীয় মিলনমেলায় পরিণত হয়, যা দর্শক-শ্রোতাদের মাঝে বিজয়ের আনন্দ ও দেশপ্রেমের অনুভূতিকে আরও গভীরভাবে জাগ্রত করে।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর দেখুন