বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) গভীর রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ৮৬ সদস্যবিশিষ্ট সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটি অনুমোদন দেন।
অনুমোদিত কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন চৌহালী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. ইউনুস শিকদার এবং প্রথম যুগ্ম সমন্বয়কারী পদে দায়িত্ব পেয়েছেন চৌহালী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহফুজা খানম।
এ ছাড়াও সদস্য পদে চৌহালী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর সরকার, সাবেক সহসভাপতি মাওলানা মোজহারুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, সাবেক সদস্য শাহিন মিয়া, এনায়েতপুর থানা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম, খাষকাউলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুর রহমান, বিএনপি নেতা আকবর আলী, নজরুল ইসলাম ও আহসান হাবীব দুলাল।
বিএনপি ছাড়াও এই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের বেশ কয়েক নেতা। তারা হলেন, এনায়েতপুর থানা গণঅধিকার পরিষদের সাবেক সদস্য সচিব মো. মাসুম শেখ, সাবেক আহ্বায়ক আলমাস সরকার, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান বিশ্বাস, সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব মো. হাফিজুল সিকদার, সুমন সরকার, ডা. আশরাফুল ইসলাম, জেলা যুব অধিকার পরিষদ নেতা আনসার আলী, ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা মো. রিফাত সরকার ও ইয়াকুব আলী শেখ৷
সদ্য দায়িত্ব পাওয়া প্রধান সমন্বয়কারী ইউনুস শিকদার এনসিপিতে যোগদান সম্পর্কে বলেন, আমাদের সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থী আলীম। তিনি নিজেই চাঁদাবাজি করেন। তার লোকজনের চাঁদাবাজিতে এলাকার মানুষ এমনিতেই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। দেখলাম এদের কোনো জনপ্রিয়তা নেই। আর যেহেতু মঞ্জুর কাদের বিএনপির সাবেক নেতা যিনি এনসিপিতে এসেছেন, আমরাও তার সঙ্গে আছি। তার নেতৃত্বে এলাকায় উন্নয়নের স্বার্থে এনসিপিতে যোগ দিয়েছি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব মাহিন সরকার বলেন, এক মাসের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই কমিটি আগামী এক মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবে।
তিনি আরও বলেন, এনসিপির যাত্রা শুরু হয়েছে, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসমুক্ত নতুন রাজনীতি উপহার দেওয়ার জন্য। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আগ্রহীরা আমাদের সঙ্গে এসে যোগ দিয়েছে। গণ অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী অধিকাংশ ব্যক্তিবর্গ এই জাতীয় নাগরিক পার্টিতে আছে। আমরা যে কমিটি দিয়েছি, সেখানে বিএনপি ও গণ-অধিকার পরিষদের অনেক প্রমিনেন্ট নেতৃবৃন্দ রয়েছে। তারা আগে থেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। তারা যে পার্টিতে ছিল সেই পার্টিতে থেকে তাদের যে প্রত্যাশা পূরণ সম্ভব না। এ কারণে তারা এনসিপিতে যোগ দিয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, যারা এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন তাদের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। ৭ জানুয়ারি ফ্যাসিস্টের নির্বাচনে সহযোগিতা জন্য তারা দল থেকে বহিষ্কৃত। তাদের নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।
Leave a Reply