1. tanvir.love24@gmail.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  2. news@nagornews24.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : নিজস্ব প্রতিবেদক
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা মারা গেছেন ৫ই জুলাই: চার দফার ভিত্তিতে অনলাইন-অফলাইনে জনসংযোগ চালান সমন্বয়করা আমার মুক্তির প্রথম সোপান হচ্ছে আবু সাঈদ : এটিএম আজহার জুলাইতে শহীদ হতে না পারা আমার জন্য আফসোস: আসিফ মাহমুদ ইউক্রেন সীমান্তে হামলায় রাশিয়ার নৌবাহিনীর উপ-প্রধান নিহত গনজালো গার্সিয়ার জাদুতে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ ঢাবিতে নবাগতদের আবাসন সংকট নিরসনে ছাত্রশিবিরের চার দফা দাবি  হরিণ শিকারের ফাঁদ বসাতে গিয়ে, নিজেই শিকার দুলাল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কি হবে? জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা

আমার মুক্তির প্রথম সোপান হচ্ছে আবু সাঈদ : এটিএম আজহার

  • সময়: শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫
  • ২ বার
 ছবির ক্যাপশন: জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডিত হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ শেষে মুক্তি পাওয়া জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, “যে গলায় ফাঁসির রশি পরানোর কথা ছিল, সেই গলায় আজ জনতার ভালোবাসার ফুলের মালা। আমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি এবং রংপুরবাসীর পাশে আমৃত্যু থাকার অঙ্গীকার করছি।”
শুক্রবার বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জামায়াতে ইসলামীর বিভাগীয় জনসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ‘জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের বিচার’, ‘রাষ্ট্রীয় সংস্কার’, ‘গণহত্যার দায়ীদের বিচারের দাবি’ এবং ‘সংস্কারপূর্ব নির্বাচন’সহ চার দফা দাবিতে এই জনসভার আয়োজন করে জামায়াতের রংপুর মহানগর ও জেলা শাখা।
আজহারুল ইসলাম বলেন, “আমি কারাগারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অপেক্ষায় ছিলাম। আল্লাহর রহমতেই আজ আমি লক্ষ জনতার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছি। রংপুরের জনগণ সাক্ষী, আমি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। যারা আমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে, তারা পরবর্তীতে স্বীকার করেছে—জোর করে তাদের দিয়ে সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্ট না হলে আজকের এই জনসভায় নয়, আপনারা আমার জানাজায় অংশ নিতেন। শহীদ আবু সাঈদের আত্মদানই ছিল আমার মুক্তির পথের প্রথম সোপান। তার আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না, আমি তার হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”
দীর্ঘ ১৭ বছর পর রংপুরে আয়োজিত এই বৃহৎ জনসভায় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নেতা মমতাজ উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান এবং শহীদ আবু সাঈদের পরিবার। সভাপতিত্ব করেন রংপুর মহানগর জামায়াতের আমির এটিএম আজম খান।
সকাল থেকেই রংপুর শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রিকশা, অটোরিকশা, ভ্যান, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে নেতাকর্মীরা জনসভাস্থলে আসতে থাকেন। জিলা স্কুল মাঠসহ আশপাশের এলাকা, ডিসির মোড়, কাচারী বাজার, আরডিআরএস মোড় পর্যন্ত নেতাকর্মীদের ভিড় দেখা যায়। জুমার নামাজ মাঠে দুটি জামাতে আদায় করেন হাজারো মুসল্লি।
জানানো হয়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনে জামায়াত প্রার্থী দেবে এবং জনসভা থেকে সেই প্রার্থীদের পরিচয়ও ঘোষণা করা হয়।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর দেখুন