Author: নিজস্ব প্রতিবেদক

  • ‘শিবির নয়, লাল ব্যাজ ধারণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ছাত্রদলের নাছির’

    ‘শিবির নয়, লাল ব্যাজ ধারণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ছাত্রদলের নাছির’

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ২৯ জুলাই লাল ব্যাজ ধারণ করার প্রথম প্রস্তাব দিয়েছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। 

    রবিবার (৬ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তৎকালীন সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন।

    আব্দুল কাদের তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘২৯ জুলাই সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় শোক দিবস পালন এবং কালো ব্যাজ ধারণের ঘোষণা দেওয়ার পর ওইদিন বিকালে ছাত্রদলের নাছির ভাইয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়। তখন নাছির ভাই রাষ্ট্রীয় কালো ব্যাজের বিপরীতে লাল ব্যাজ ধারণের প্রস্তাব দেন। রাকিব (ছাত্রদলের সভাপতি) ও নাছির ভাইয়ের সঙ্গে এই বিষয়ে আমাদের একাধিকবার কথা হয়।’

    তিনি লিখেন, ‘পরে আমি সাদিক কায়েম (শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা) ভাইকে ফোন দিয়ে বিষয়টা জানাই। তিনি বললেন, ‘আলোচনা করে আমাকে জানাচ্ছেন।’ কিছুক্ষণ পরে তিনি ফোন দিয়ে সম্মতি দেন।’

    তিনি আরও লিখেন, ‘প্রতিদিন কর্মসূচি ফাইনাল করার আগে আমরা চারজন- আমি, মাসউদ, রিফাত, মাহিন আলোচনা করতাম। শিবির এবং ছাত্রদলের সঙ্গে অনেক সময় গ্রুপ কলে মিটিং করে কর্মসূচি ফাইনাল করতাম। তারই ধারাবাহিকতায় ঐদিনও আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করলাম। রিফাত বললো যে, ‘শোক দিবসের প্রতিবাদে আমরা কালো কাপড় চোখে মুখে বাঁধতে পারি’। আমি রিফাতকে নাসির ভাইয়ের আইডিয়ার কথা বললাম, লীগ যেহেতু কালো কাপড় দিছে, আমরা এইক্ষেত্রে লাল কাপড় বাঁধতে পারি। মাহিনও একই প্রস্তাব দিল।’

    নাছির উদ্দীন নাছিরের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছিল জানিয়ে আব্দুল কাদের বলেন, ‘পরবর্তীতে সাদিক ভাই এবং নাছির ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করে চোখেমুখে লাল কাপড় বাঁধার কর্মসূচি ফাইনাল করা হলো এবং ছবি তুলে প্রোফাইল পিকচার দেওয়ার আহবান জানানো হলো। যাদের কাছে লাল কাপড় নেই, তারা যেনো প্রোফাইল ‘লাল’ করে। ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সেই সময়ে রিফাত রশিদ দেশবাসীর প্রতি এমন আহবান জানিয়েছিলেন। প্রোফাইল পিকচারের সঙ্গে বিভিন্ন হ্যাশট্যাগ জুড়ে দেওয়ার বিষয়ে সাদিক ভাই পরামর্শ দেন। পরামর্শের আলোকে তিনি কিছু হ্যাশট্যাগও দিয়ে দেন।’

    তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ ভিন্ন দাবি করেছেন। তার ভাষ্য, লাল ব্যাজ ধারণের প্রস্তাব প্রথম তিনি দেন। এক সাক্ষাৎকারে ফরহাদ বলেন, রাষ্ট্রীয় শোক ও কালো পতাকার পরিবর্তে লাল ব্যাজ ধারণের প্রস্তাব তিনি প্রথম শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তৎকালীন সভাপতি সাদিক কায়েমকে দেন এবং পরে তারা প্রেস বিজ্ঞপ্তি তৈরি করে আন্দোলনের সমন্বয়কদের পাঠান।

  • সকালে উঠে যদি মনে হয় ‘কিছু ভালো লাগছে না’— এই লেখা শুধু আপনার জন্য

    সকালে উঠে যদি মনে হয় ‘কিছু ভালো লাগছে না’— এই লেখা শুধু আপনার জন্য

    সকালের শুরুটা আমাদের সারা দিনের মেজাজ, শক্তি এবং মনোভাবকে প্রভাবিত করে। কিন্তু এমন অনেক সকাল আসে, যখন ঘুম থেকে উঠে মনে হয় সব কিছু ধোঁয়াটে, নিরর্থক, নিষ্প্রাণ। এমনটা হলে আপনি একা নন। এই অনুভূতি খুব স্বাভাবিক, এবং বহু মানুষ প্রতিদিন এর মুখোমুখি হন। তবে এই অনুভূতির সঙ্গে দীর্ঘ সময় লড়াই করলে সেটি বিষণ্ণতার (depression) লক্ষণও হতে পারে। কিন্তু তার আগেই, নিজেকে একটু বোঝা জরুরি।

    সকালে এমন অনুভূতির মূল কারণ হতে পারে মানসিক ক্লান্তি, অনিশ্চয়তা, ভয়ের চাপ কিংবা অতিরিক্ত প্রত্যাশা। আজকাল আমরা সবাই খুব ব্যস্ত, অথচ ভিতরে ভিতরে ভীষণ একা। চারপাশে অনেক কিছু ঘটছে, কিন্তু নিজের জীবনে হয়তো যেন কিছুই ঘটছে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যদের জীবনের চাকচিক্য দেখে নিজের জীবনকে মূল্যহীন মনে হতে পারে। অথচ, এসব তুলনার কোনো বাস্তব মানে নেই। প্রতিটি মানুষের যাত্রা আলাদা এবং প্রতিটি সকাল একটি নতুন সুযোগ— যদিও সবসময় সেটা আমরা অনুভব করতে পারি না।

    মন খারাপের সকালে প্রথম যেটা দরকার, তা হলো নিজের প্রতি একটু সহানুভূতি। নিজেকে তাড়াহুড়ো করে সামলে তোলার দরকার নেই। বরং নিজেকে জিজ্ঞেস করুন— আজকের সকালে আপনার সবচেয়ে বেশি কী দরকার? ঘুম? একটু নিরিবিলি সময়? কোনো কিছু না করেও কিছুক্ষণ বসে থাকা? এমনকি এই প্রশ্ন করার মধ্যেই একটা আত্ম-সহানুভূতির অনুভব থাকে, যা ধীরে ধীরে মনের ভার হালকা করে।

    অনেক সময় আমরা ভাবি, সব সময় আমাদের প্রোডাকটিভ থাকতে হবে, সব সময় কিছু করে যেতে হবে। এই ভাবনা থেকেই আসে ক্লান্তি, অবসাদ, চাপ। কিন্তু মানবমন এমন না যে, তাকে ২৪ ঘণ্টা কার্যক্ষম রাখতে হবে। মন মাঝে মাঝে চুপচাপ বসে থাকতে চায়, কেবল প্রকৃতি দেখতে চায়, পুরনো গান শুনতে চায় বা শৈশবের কথা ভাবতে চায়। এসব চাওয়া যদি দমন করে রাখি, তাহলে সকালে উঠে মনে হবেই— “কিছু ভালো লাগছে না।”

    এই অনুভূতিকে বোঝার একটি উপায় হলো, একে প্রতিপক্ষ না বানিয়ে বন্ধুর মতো কাছে টেনে নেওয়া। মনে রাখবেন, আপনি যেটা অনুভব করছেন, সেটা আপনার কোনো ব্যর্থতা নয়। বরং এটা আপনার মানসিক স্বাস্থ্য একটি বার্তা পাঠাচ্ছে— আপনাকে একটু থামতে হবে, নিজের কথা শুনতে হবে। হয়তো আপনি অনেকদিন ধরে শুধু দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন, অথচ নিজের কোনো ইচ্ছের কথা শোনেননি। হয়তো আপনি কারও জন্য অনেক কিছু করছেন, কিন্তু আপনার নিজের জন্য কিছুই করছেন না। এ অবস্থায় “ভালো না লাগা” একপ্রকার আত্মার কান্না, যার প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো উচিত।

    কী করা যেতে পারে? ছোট কিছু অভ্যাস এই অনুভূতির ভার অনেকটা হালকা করে দিতে পারে। যেমন, সকালে ঘুম থেকে উঠে ১০ মিনিট চোখ বন্ধ করে শুধু নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে মনোযোগ দেওয়া। আপনি চাইলে এই সময়টায় বলতে পারেন— “আমি আছি, আমি টিকে আছি, আমি চেষ্টা করছি।” আবার, নিজের জন্য একটি সুন্দর কাপ চা বা কফি বানানো, পছন্দের কোনো পুরনো গান শোনা, জানালা খুলে রোদে দাঁড়িয়ে থাকা— এসব ছোট জিনিস মানসিক আরাম দিতে পারে।

    আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কারও সঙ্গে কথা বলা। সব সময় গভীর কথা না হলেও চলে। শুধু ‘আজ সকালটা কেমন যাচ্ছে’ বলা বা কারও সঙ্গে হালকা মজার গল্প করাও মন হালকা করতে পারে। কোনো কাছের বন্ধু, পরিবারের সদস্য, এমনকি সহকর্মী যেকোনো কারো সঙ্গে কথা বলা অনেক সময় ভিতরের ভার কমিয়ে দেয়।

    যারা নিয়মিত এই অনুভূতির মুখোমুখি হন, তাদের জন্য প্রয়োজন কিছু সচেতন বদল। যেমন: প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট হাঁটা, শরীরচর্চা বা ধ্যান করা, ঘুমের সময় ঠিক রাখা, দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় শুধু নিজের জন্য বরাদ্দ রাখা— এসব অভ্যাস ধীরে ধীরে মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। খাবারের দিকেও নজর দিন, কারণ খালি পেটে বা অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মন খারাপ বাড়িয়ে দিতে পারে।

    তবে যদি এই ‘ভালো না লাগা’ দীর্ঘস্থায়ী হয়, প্রতিদিনের কাজে বাধা দেয়, বা মনে হয় জীবনের অর্থ হারিয়ে ফেলেছেন, তাহলে দেরি না করে একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন। ঠিক যেমন জ্বর হলে ডাক্তারের কাছে যাই, মন অসুস্থ হলে তারও চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। দুর্বলতা নয়, বরং নিজের জন্য সহানুভূতি ও দায়িত্বশীলতারই প্রকাশ হলো কাউন্সেলিং নেওয়া।

    মনে রাখুন, সকালের মন খারাপ মানেই খারাপ দিন না। মন খারাপের মধ্যেও জীবনের সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকতে পারে, যদি আপনি সেটাকে উপলব্ধি করার সুযোগ দেন। আপনি যে আজ সকালে ঠিকমতো ঘুম থেকে উঠেছেন, এটাই অনেক বড় সাফল্য। কারণ হাজারো মানুষের পক্ষে সেটাও সম্ভব হয় না। জীবন সব সময় একরকম যায় না, এবং আপনার মনের এই অস্থিরতা-অস্বস্তিও চিরস্থায়ী না। ধৈর্য ধরুন, একটু থামুন, নিজের কাঁধে হাত রাখুন। আপনার জন্য ভালো সময় অপেক্ষা করছে। হয়তো ঠিক পরবর্তী সকালেই।

  • বৃত্তি প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দ্যা স্কলার্স ফোরাম ঢাকার কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    বৃত্তি প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দ্যা স্কলার্স ফোরাম ঢাকার কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    দ্যা স্কলারস ফোরাম ঢাকার উদ্যোগে ঢাকার একটি মিলনায়তনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে অঞ্চল প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মশালায় অংশ নেন ফোরামের  অঞ্চল প্রতিনিধিগণ।

    কর্মশালায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দ্যা স্কলারস ফোরামের পরিচালক জনাব হেলাল উদ্দিন রুবেল। তিনি প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে ফোরামের লক্ষ্য, কর্মপন্থা, ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলার  বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া, বৃত্তি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রতিনিধিদের করণীয় নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

    ফোরামের সদস্য সচিব জনাব দেলোয়ার হোসেন ২০২৫ সেশনের বৃত্তি প্রকল্পের বিভিন্ন দিক উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, আসন্ন সেশনে আরও বৃহৎ পরিসরে বৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তুতি চলছে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য এই প্রকল্প হবে আরও উপযোগী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক।

    কর্মশালাটি  সঞ্চালনা করেন ফোরামের নির্বাহী পরিচালক হাসিবুল ইসলাম সিফাত। কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন ফোরামের নির্বাহী সদস্য ওমর ফারুক ফাহিম, নিয়াজ মাহমুদ, শাহ নেয়ামতউল্লাহসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

    আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই কর্মশালাটি প্রতিনিধিদের দক্ষতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক সমন্বয় এবং ফোরামের ভবিষ্যৎ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

  • সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা মারা গেছেন

    সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা মারা গেছেন

    সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন। শনিবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

    সেনা সমর্থিত পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তার অধীনে ২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ কমিশনের অধীনে ছবিসহ জাতীয় ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়।

    পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। তিনি দেশে আসার পর সাবেক এ সিইসির দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।শামসুল হুদা ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। পরে বাংলাদেশ স্বাধীনত হলে তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। ২০০০ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন।

    তিনি বাগেরহাটে মহকুমা প্রশাসক (সাব ডিভিশনাল অফিসার), পানি সম্পদ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

  • ৫ই জুলাই: চার দফার ভিত্তিতে অনলাইন-অফলাইনে জনসংযোগ চালান সমন্বয়করা

    ৫ই জুলাই: চার দফার ভিত্তিতে অনলাইন-অফলাইনে জনসংযোগ চালান সমন্বয়করা

    গত বছরের ৫ জুলাই ছিল শুক্রবার। এদিন সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল সংক্রান্ত চার দফা দাবির ভিত্তিতে অনলাইন ও অফলাইনে জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ সমন্বয়করা। এই জনসংযোগ সারাদেশেই সমন্বিতভাবে চালানো হয়।

    এর আগের দিন বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ প্রত্যাহারের আগে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম তিন দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, আগামীকাল (শুক্রবার) চার দফার ভিত্তিতে অনলাইন ও অফলাইনে আমাদের জনসংযোগ কর্মসূচি চলবে, এটা সারাদেশেই সমন্বিতভাবে করা হবে।

    তিনি আরও বলেন, যেভাবে আমাদের চার দফা দাবিতে আন্দোলন চলছে, সেভাবেই তা চলতেই থাকবে। এখন পর্যন্ত নির্বাহী বিভাগ বা সরকারের কোনো দপ্তর থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি এবং কোনোরকম আশ্বস্তও করেনি। এ জন্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবেই।

    তিন দিনের কর্মসূচি তুলে ধরে দিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, শুক্রবার (৫ জুলাই) চার দফা দাবির ভিত্তিতে অনলাইন ও অফলাইনে আমাদের জনসংযোগ কর্মসূচি চলবে।

    শনিবার (৬ জুলাই) সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। রোববার (৭ জুলাই) সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের মতো ধর্মঘট পালন করা হবে।

    আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আগামীকাল শুক্রবারেও আমাদের কর্মসূচি বন্ধ থাকবে না, আমরা অনলাইন ও অফলাইনে আমাদের চার দফা দাবিকেন্দ্রিক ব্যাপক প্রচারণা চালাবো। শনিবার বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার সারাদেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করবো আমরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবেই।

    বিজ্ঞাপন
    ইতোমধ্যে সমন্বয়কদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কর্মসূচিগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক হারে সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে থাকেন। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রতিটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ৪ থেকে ৫ জুলাইয়ের মধ্যে অভিন্ন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের আহ্বানে একাত্মতা পোষণ করেন।

    এটা দেশের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়েও ব্যাপক সাড়া ফেলে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ব্যাপক প্রচার হয়। কোন কোন বিভাগ ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে, ফেসবুকে তার হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করেন সমন্বয়করা।

    এদিন সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিলের জারিকৃত সরকারি পরিপত্রের অংশবিশেষ অবৈধ ঘোষণা করে হাই কোর্টের দেওয়া রায়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সমর্থনও জানায়।

    সূত্র: বাসস

     

  • আমার মুক্তির প্রথম সোপান হচ্ছে আবু সাঈদ : এটিএম আজহার

    আমার মুক্তির প্রথম সোপান হচ্ছে আবু সাঈদ : এটিএম আজহার

    মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডিত হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ শেষে মুক্তি পাওয়া জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, “যে গলায় ফাঁসির রশি পরানোর কথা ছিল, সেই গলায় আজ জনতার ভালোবাসার ফুলের মালা। আমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি এবং রংপুরবাসীর পাশে আমৃত্যু থাকার অঙ্গীকার করছি।”
    শুক্রবার বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জামায়াতে ইসলামীর বিভাগীয় জনসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ‘জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের বিচার’, ‘রাষ্ট্রীয় সংস্কার’, ‘গণহত্যার দায়ীদের বিচারের দাবি’ এবং ‘সংস্কারপূর্ব নির্বাচন’সহ চার দফা দাবিতে এই জনসভার আয়োজন করে জামায়াতের রংপুর মহানগর ও জেলা শাখা।
    আজহারুল ইসলাম বলেন, “আমি কারাগারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অপেক্ষায় ছিলাম। আল্লাহর রহমতেই আজ আমি লক্ষ জনতার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছি। রংপুরের জনগণ সাক্ষী, আমি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। যারা আমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে, তারা পরবর্তীতে স্বীকার করেছে—জোর করে তাদের দিয়ে সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।”
    তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্ট না হলে আজকের এই জনসভায় নয়, আপনারা আমার জানাজায় অংশ নিতেন। শহীদ আবু সাঈদের আত্মদানই ছিল আমার মুক্তির পথের প্রথম সোপান। তার আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না, আমি তার হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”
    দীর্ঘ ১৭ বছর পর রংপুরে আয়োজিত এই বৃহৎ জনসভায় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নেতা মমতাজ উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান এবং শহীদ আবু সাঈদের পরিবার। সভাপতিত্ব করেন রংপুর মহানগর জামায়াতের আমির এটিএম আজম খান।
    সকাল থেকেই রংপুর শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রিকশা, অটোরিকশা, ভ্যান, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে নেতাকর্মীরা জনসভাস্থলে আসতে থাকেন। জিলা স্কুল মাঠসহ আশপাশের এলাকা, ডিসির মোড়, কাচারী বাজার, আরডিআরএস মোড় পর্যন্ত নেতাকর্মীদের ভিড় দেখা যায়। জুমার নামাজ মাঠে দুটি জামাতে আদায় করেন হাজারো মুসল্লি।
    জানানো হয়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনে জামায়াত প্রার্থী দেবে এবং জনসভা থেকে সেই প্রার্থীদের পরিচয়ও ঘোষণা করা হয়।
  • জুলাইতে শহীদ হতে না পারা আমার জন্য আফসোস: আসিফ মাহমুদ

    জুলাইতে শহীদ হতে না পারা আমার জন্য আফসোস: আসিফ মাহমুদ

    অন্তর্বর্তী সরকারের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, জুলাইতে শহীদ হতে না পারা আমার জন্য আফসোস।

    শুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

    উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ লেখেন, গতবছর জুলাইতেও আমাদের হত্যার সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিল একজন। এদেশের জনগণ তার পরিণতি কী করেছে তা সবারই জানা। এরপর নিজের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে তিনি লেখেন, ‘৩৬ জুলাই শহীদ হওয়ার খুব কাছাকাছি ছিলাম। শাহাদাতের সুযোগ এলে কখনো পিছপা হবো না।

    স্ট্যাটাসে তিনি জুলাই মাসকে প্রতিরোধ ও আত্মত্যাগের মাস হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘জুলাই এদেশে লক্ষ-কোটি বিপ্লবীর জন্ম দিয়েছে।’

    তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি বা আমরা না থাকলেও ক্ষতি নেই, আমাদের ভিশন ক্ষণস্থায়ী জীবনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম, শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে এই বিপ্লবীদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।’

    স্ট্যাটাসের এক পর্যায়ে তিনি অতীতের সহিংস আক্রমণের ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, একটারে মারি, একটাই যায়; বাকিডি যায় না স্যার। ভুলে গেছেন?

  • ইউক্রেন সীমান্তে হামলায় রাশিয়ার নৌবাহিনীর উপ-প্রধান নিহত

    ইউক্রেন সীমান্তে হামলায় রাশিয়ার নৌবাহিনীর উপ-প্রধান নিহত

    ইউক্রেন সীমান্তের কুরস্ক অঞ্চলে হামলায় রাশিয়ার নৌবাহিনীর উপ-প্রধান নিহত হয়েছেন। নিহত ওই কর্মকর্তার নাম মেজর জেনারেল মিখাইল গুদকোভ। রাশিয়ার সেনাবাহিনী এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। নৌ বাহিনীর ওই ঊর্ধ্বতন পদে গত মার্চ মাসেই গুদকোভকে নিয়োগ দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই প্রথম মস্কোর সশস্ত্র শাখার উপ-প্রধান স্তরের কোনও কর্মকর্তা নিহত হলেন। তবে ইউক্রেন এই হামলার বিষয়ে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করেনি।

    রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় বলছে, পশ্চিমাঞ্চলের কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেন বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িত থাকাকালে তিনি নিহত হয়েছেন। ওই অঞ্চলটির সঙ্গে ইউক্রেনের সামি অঞ্চলের সীমান্ত রয়েছে। যুদ্ধাভিযান সম্পর্কে মন্ত্রণালয় বিস্তারিত আর কোনও তথ্য দেয়নি।

    জানা গত গ্রীষ্মে ইউক্রেনের সেনারা হঠাৎ করেই কুরস্কে ঢুকে পড়ে হামলা চালিয়োছিল। পরে রাশিয়ার হামলার মুখে ইউক্রেনের বেশিরভাগ সেখান থেকে সরে যায়। তবে জুনে কিইভ জানিয়েছিল, কুর্স্কের ছোট্ট কয়েকটি এলাকা এখনও তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।

    ইউক্রেনের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার জেনারেল ওলেকজান্ডার সিরস্কি বুধবার বলেছিলেন, রাশিয়ার সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে তারা পাল্টা হামলা শুরু করেছেন। সেখানেই যুদ্ধে মেজর জেনারেল গুদকভের মৃত্যুর খবর এল। রাশিয়ার প্রাইমোরস্কি অঞ্চলের গভর্নর ওলেগ কোঝেমিয়াকো বলেছেন, একই হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ১০ জন।ওলেগ কোঝেমিয়াকো টেলিগ্রামে এই মৃত্যুর খবর জানান। গুদকোভকে তিনি খুবই কর্তব্যনিষ্ঠ একজন কর্মকর্তা হিসাবে বর্ণনা করে বলেন, তিনি দায়িত্ব পালনকালে নিহত হয়েছেন।

    রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সামরিকবাহিনী-সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের অনিশ্চিত কয়েকটি খবরে বলা হয়েছে, সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে করেনেভো শহরের কাছে একটি রুশ কমান্ড পোস্টে ইউক্রেইনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গুদকোভ নিহত হন।

  • গনজালো গার্সিয়ার জাদুতে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ

    গনজালো গার্সিয়ার জাদুতে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ

    আশিকুর রহমান ইমন, ক্রীড়া প্রতিবেদক নগর নিউজ২৪: যেখানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, সেখানেই হঠাৎ উজ্জ্বল হয়ে উঠলেন এক নতুন তারকা—গনজালো গার্সিয়া। ২১ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ তরুণের অসাধারণ হেড থেকে আসা একমাত্র গোলেই রিয়াল মাদ্রিদ ১–০ ব্যবধানে হারায় জুভেন্টাসকে, এবং জায়গা করে নেয় ক্লাব বিশ্বকাপ ২০২৫-এর কোয়ার্টার ফাইনালে।

    স্বপ্নের মুহূর্ত: গার্সিয়ার গোল

    ম্যাচের ৫৪তম মিনিট। ডান দিক থেকে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ড নিখুঁত এক ক্রস বাড়িয়ে দেন বক্সের মধ্যে। গনজালো গার্সিয়া নিখুঁত টাইমিংয়ে লাফিয়ে উঠে বলটিকে হেড করেন, যা জুভেন্টাসের গোলরক্ষক মিশেল দি গ্রেগরিওর নাগালের বাইরে জাল ছুঁয়ে ফেলে।
    গোলটি ছিল শুধুই ম্যাচ নির্ধারণকারী নয়—এটি ছিল প্রতিভার ঘোষণা।

    গোল করার পর গার্সিয়া বলেন,

    “আমি জানতাম, এই টুর্নামেন্ট আমার জীবনের সুযোগ। আমি প্রস্তুত ছিলাম, এবং এই মুহূর্তটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।”

    নতুন নায়ক: গনজালো গার্সিয়া

    এক মাস আগেও যাকে কেউ চিনত না, সেই গার্সিয়া এখন ক্লাব বিশ্বকাপের আলোচনার কেন্দ্রে। রিয়াল মাদ্রিদের একাডেমি থেকে উঠে আসা এই ফরোয়ার্ড ইতোমধ্যেই করেছেন তিনটি গোল, এবং কোচ জাবি আলোনসো স্বীকার করেছেন,

    “তার পারফরম্যান্স আমাদের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে।”

    গার্সিয়ার পারিবারিক ইতিহাসও ব্যতিক্রমী—রাগবি খেলোয়াড়, ষাঁড়ের লড়াইয়ের যোদ্ধা, এমনকি হলিউড কিংবদন্তি রিটা হেওয়ার্থের আত্মীয়। সেই পরিবারের নতুন পরিচয় এখন—এক প্রতিভাবান ফুটবলার।

    ফিরলেন এমবাপ্পে, ফিরল উত্তেজনা

    পেটের ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরেই এই ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। হারিয়েছেন ৫ কেজি ওজন, ছিলেন চারটি ম্যাচের বাইরে। মাঠে নেমেই দর্শকরা দাঁড়িয়ে তাকে অভিবাদন জানান। যদিও গোল পাননি, তবে তার পাসিং ও গতি রিয়ালের আক্রমণে নতুন মাত্রা যোগ করে।

    ম্যাচের চিত্র ও ট্যাকটিকস

    প্রথমার্ধে রিয়াল কিছুটা ধীর গতিতে খেললেও, ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
    ফেদে ভালভার্দে ছিলেন সবখানে—আক্রমণ, রক্ষণ, মাঝমাঠে তার গতির ছাপ ছিল স্পষ্ট।

    আর্দা গুলের খেলায় সৃজনশীলতা ছিল নজরকাড়া।

    রিয়াল তিন সেন্টার-ব্যাক সিস্টেমে খেলে প্রতিপক্ষকে চাপিয়ে রাখে।

    জুভেন্টাসের তরুণ তারকা কেনান ইয়িলদিজ একাধিকবার রিয়াল রক্ষণকে অস্বস্তিতে ফেলেন, তবে গোলের দেখা মেলেনি।

    সামনে কী অপেক্ষা করছে?

    এই জয়ের ফলে রিয়াল মাদ্রিদ এখন কোয়ার্টার ফাইনালে, যেখানে তারা মুখোমুখি হবে বোরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সাথে। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুলাই, মেটলাইফ স্টেডিয়ামে (যুক্তরাষ্ট্র)।

  • ঢাবিতে নবাগতদের আবাসন সংকট নিরসনে ছাত্রশিবিরের চার দফা দাবি

    ঢাবিতে নবাগতদের আবাসন সংকট নিরসনে ছাত্রশিবিরের চার দফা দাবি

    শিক্ষাবর্ষে নবাগত শিক্ষার্থীদের আবাসনসংক্রান্ত সংকট নিরসনে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

    স্মারকলিপিতে ছাত্রশিবির জানায়, সদ্য ভর্তি হওয়া ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ২ জুলাই শুরু হচ্ছে, অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনও তাদের জন্য কোনো আবাসন পরিকল্পনা বা সময়সীমা জানায়নি। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও আবাসনের বিষয়টি নিয়ে উৎকণ্ঠা আরও তীব্র।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায়, প্রথম বর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীদের বৈধ হলে সিট পাওয়া একটি মৌলিক ও ন্যায্য অধিকার হিসেবে উল্লেখ করে ছাত্রশিবির তাদের চার দফা দাবি পেশ করে:

    দাবিসমূহ:

    ১. আবাসন পরিকল্পনা: অবিলম্বে নবাগত শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসনসংক্রান্ত সুস্পষ্ট পরিকল্পনা প্রকাশ ও আগের শিক্ষার্থীদের মেয়াদোত্তীর্ণ সিট বাতিল করে নবীনদের জন্য বরাদ্দ দিতে হবে। সিট বরাদ্দে স্বচ্ছতা ও রাজনৈতিক পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

    ২. অস্থায়ী হোস্টেল: সিট সংকট সমাধানে ক্যাম্পাসসংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ী হোস্টেলের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেখান থেকে প্রয়োজন ও মেধার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

    ৩. আবাসনভাতা: সাময়িক সমাধান হিসেবে শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা হারে আবাসনভাতা চালু করতে হবে, যা সিট বরাদ্দ না পাওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

    ৪. গণরুম সংস্কৃতি রোধ: পূর্বের গণঅভ্যুত্থানে প্রত্যাখ্যাত গণরুম সংস্কৃতিকে যেন পুনরায় চাপিয়ে দেওয়া না হয় এবং কোনো অবস্থাতেই সংকটের অজুহাতে গণরুম চালু না করার আহ্বান জানানো হয়।

    ছাত্রশিবির বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অচিরেই এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলে, “আবাসন অধিকারকে উপেক্ষা করে নতুন শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু করা এক ধরনের অবিচার।”