Author: নিজস্ব প্রতিবেদক

  •  হরিণ শিকারের ফাঁদ বসাতে গিয়ে, নিজেই শিকার দুলাল

     হরিণ শিকারের ফাঁদ বসাতে গিয়ে, নিজেই শিকার দুলাল

    সোহেল রানা, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি 

    পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালি অভয়ারণ্যের সুখপাড়া খালের পাশের বনাঞ্চলে হরিণ শিকারের জন্য ফাঁদ বসাতে গিয়ে মো. আরিফুল ইসলাম দুলাল (৩৫) নামের এক পেশাদার শিকারিকে হাতেনাতে আটক করেছে বন বিভাগের SMART পেট্রোল টিম-২।
    সোমবার (৩০ জুন) সকাল সকাল ১১ টার দিকে কচিখালি অভয়ারণ্যে টহলের সময় তাকে ফাঁদ বসানোর মুহূর্তে ধরে ফেলে বন বিভাগের সদস্যরা।
    আটক দুলালের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কোরাইল্যা গ্রামে। তিনি আব্দুল খালেক মিলনের ছেলে।

    বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, শিকারের উদ্দেশ্যে দুলালের কাছে থাকা বিপুল পরিমাণ আলামত জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শত শত হরিণ শিকারের ফাঁদ, একটি করাত, ধারালো ছুরি, প্রায় ২০০ গজ পলিথিন, ১০০ ফুট প্লাস্টিকের রশি, ১১টি খালি প্লাস্টিকের বস্তা ও দুটি পাতিল। এসব আলামত তাৎক্ষণিকভাবে কচিখালি অভয়ারণ্য কেন্দ্রে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    বন আইন ১৯২৭ (সংশোধিত) অনুযায়ী, তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
    অভিযানে নেতৃত্ব দেন SMART পেট্রোল টিম-২ এর দলনেতা ফরেস্টার দিলিপ মজুমদার। তিনি বলেন, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদের টিম সর্বদা তৎপর। অবৈধ অনুপ্রবেশ ও শিকার রোধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    সুন্দরবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় এমন উদ্যোগ বন বিভাগের প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন পরিবেশ সচেতনরা।

  • পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কি হবে?

    পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কি হবে?

    আবিদ, নগরনিউজ২৪ ডেস্ক:

    বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত রয়েছে ‘প্রথমে আসা, প্রথমে জেতা’ (FPTP) পদ্ধতি। তবে নানা সমালোচনা, বৈষম্য এবং ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এখন অনেকেই চাইছেন আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (PR) পদ্ধতির প্রবর্তন। এই পদ্ধতিতে ভোটাররা সরাসরি প্রার্থীকে নয়, বরং রাজনৈতিক দলকে ভোট দেন, এবং প্রতিটি দল দেশের মোট ভোটের যত শতাংশ পায়, সে অনুযায়ী সংসদে আসন পায়।

    এই কাঠামো কার্যকর হলে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ। কারণ PR পদ্ধতিতে যেহেতু দলভিত্তিক ভোট গ্রহণ হয়, সেখানে দল ছাড়া কেউ ভোটে অংশ নিলে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ কার্যত শূন্য।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি বাংলাদেশ এককভাবে পূর্ণ PR পদ্ধতিতে যায়, তাহলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের আর সংসদে প্রবেশের সুযোগ থাকবে না। কারণ তখন ভোটাররা দলকেই বেছে নেবেন, ব্যক্তি নয়। তবে কিছু দেশে মিশ্র পদ্ধতির প্রচলন আছে—যেখানে কিছু আসনে সরাসরি ভোট হয়, কিছু আসনে আনুপাতিক হিসাব চলে। এমন ব্যবস্থা চালু হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কিছু আসনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

    স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি তারা সংসদে অবস্থান টিকিয়ে রাখতে চান, তাহলে হয়তো তাদের ছোট দল গঠন করে জোটবদ্ধভাবে তালিকাভুক্ত হতে হবে। তা না হলে পিআর পদ্ধতির অধীনে তাদের কার্যত হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    গণতান্ত্রিক বহুত্ববাদ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন যদি কখনো পিআর পদ্ধতি চালুর চিন্তা করে, তবে তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ব্যবস্থাও থাকতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

  • জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা

    জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা

    সততা ও দক্ষতায় প্রজন্ম গড়ার প্রতিজ্ঞায় “জুলাই জাগরণ নব উদ্যমে বিনির্মাণ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। আজ (সোমবার) বিকেল ৫:৪৫ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন— ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বিপ্লবীদের তাজা রক্তের বিনিময়ে সংঘটিত হয়েছিল জুলাই অভ্যুত্থান। ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় রচিত হয়েছিল বিজয়ের ঐতিহাসিক এক উপাখ্যান। জুলাই ছিল ফ্যাসিবাদ, আধিপত্যবাদ, জুলুম ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে জনগণের এক বিস্ময়কর জাগরণ।
    আধিপত্যবাদী ভারতের প্রেসক্রিপশনে ২০০৯ সালে পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ গণহত্যা, লুটপাট, দুর্নীতি, নারী নির্যাতন, অর্থপাচার, সামাজিক বিভাজন সৃষ্টি ও নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হরণের মাধ্যমে একদলীয় শাসন কায়েম করে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করে। ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে মেধা ও যোগ্যতার পরিবর্তে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দিয়ে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, বিচারব্যবস্থা, গণমাধ্যম ও প্রশাসনকে দলীয়করণ করে দেশে চূড়ান্তভাবে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করে।

    মেধাবীদের উপেক্ষা করে দলীয় লোকবল নিয়োগের একটি কৌশলগত মাধ্যম ছিল বিতর্কিত কোটা ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংশোধন করে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা। এ দাবিতে ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের তীব্র ছাত্রআন্দোলনের মুখে সরকার অযৌক্তিক কোটাপ্রথা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু ২৪-এর ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সেই কোটাব্যবস্থা পুনর্বহালের জন্য নানা ধরনের টালবাহানা ও কূটকৌশলের আশ্রয় নেয় শেখ হাসিনা সরকার। এর প্রতিবাদেই শুরু হয় আন্দোলন, যার সাথে যুক্ত হয় বিগত ১৫ বছর ধরে নির্যাতনের শিকার প্রতিটি মানুষের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। ফলশ্রুতিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়, যা ছিল সময়ের অনিবার্য দাবি ও বাস্তবতা।

    আন্দোলন প্রশমিত করতে তৎকালীন হাসিনা সরকার বেছে নিয়েছিল পেশিশক্তির মাধ্যমে দমনপীড়নের পথ। দলীয় ক্যাডার ও রাষ্ট্রীয় সকল বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে হাজার হাজার তরুণ, যুবক, বৃদ্ধ, নারী ও শিশুকে নির্বিচারে হত্যা করে। বাসার ছাদে খেলায় মগ্ন শিশুদেরও হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়। দেশের রাজপথ, জনপদ এবং ক্যাম্পাস রঞ্জিত হয় ছাত্র-জনতার রক্তে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন রিপোর্ট অনুসারে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে ১২-১৩% ছিল শিশু ।
    শুধু মানুষ হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি; মৃতদেহের সঙ্গেও করা হয়েছে নিষ্ঠুরতা অমানবিক আচরণ। হত্যা করার পর লাশ গুম, মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলা, লাশ ছুড়ে ফেলে দেওয়া, লাশের ওপর দিয়ে রায়টকার ও গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার মতো বর্বরোচিত আচরণ বিশ্ববাসীকে স্তম্ভিত করেছে। আহত ব্যক্তিদেরকে হাসপাতালে নিতে বাধা প্রদানের পাশাপাশি দলীয় ক্যাডারদের মাধ্যমে হাসপাতালগুলোকেও হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে।
    সারা দেশে দুই সহস্রাধিক লাশ ও হাজারো মানুষের রক্তের পরও ফ্যাসিস্ট সরকার ভেবে ছিল আন্দোলন প্রত্যাহার করে স্বৈরাচারের বশ্যতা মেনে নিয়ে সবাই ঘরে ফিরে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশে ছাত্র-জনতা প্রমাণ করেছে গুলি করে, হত্যা করে বিপ্লবীদের দমন করা যায় না। জুলাই আন্দোলন কোনো একক দলের বা গোষ্ঠীর ছিল না। এটি ছিল ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। ধর্ম, বর্ণ, পেশা নির্বিশেষে প্রতিটি জনপদের প্রত্যেক মানুষ এক কণ্ঠে আওয়াজ তুলেছিল—“দফা এক, দাবি এক, খুনি হাসিনার পদত্যাগ!”

    সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ,
    জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনের স্পিরিট ছিল জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ। জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে গণহত্যাকারীদের বিচার, শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন, গঠনমূলক রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রবর্তন, ক্যাম্পাসসমূহে ছাত্র সংসদ-ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি, রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কার ও বৈষম্যহীন এক নতুন বাংলাদেশ গঠন। যেখানে নিশ্চিত হবে নাগরিকের ন্যায্য অধিকার, নির্মূল হবে জুলুমতন্ত্র আর প্রতিষ্ঠিত হবে ন্যায় ও ইনসাফের বাংলাদেশ।
    আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে উল্লেখ করছি যে, ৫ আগস্ট অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনের সন্ধিক্ষণে কিছু ব্যক্তি ও দল জুলাইয়ের স্পিরিটকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। যেখানে ছোটখাটো বিভেদকে পাশ কাটিয়ে জাতীয় ঐক্য অটুট রাখাই হচ্ছে প্রধান দায়িত্ব, সেখানে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড, অপপ্রচার, দায় চাপানো, অহেতুক ও এখতিয়ারবহির্ভূত বক্তব্যের মাধ্যমে বিভাজন তৈরি করছে।

    জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ছিল বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সংস্কার। কিন্তু দেশের গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলোতে এখনও গণহত্যার সহযোগীরা স্বপদে বহাল রয়েছে। সচিবালয়সহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোতেও গণহত্যাকারী খুনি হাসিনার দোসরদের উসকানিতে অনাকাঙ্ক্ষিত বিভিন্ন আন্দোলন তৈরি করা হচ্ছে। বিচার কাজে দীর্ঘসূত্রিতা, মামলা বাণিজ্যের মাধ্যমে আসামিদের জামিনে মুক্তি দেওয়া এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে আওয়ামী খুনিদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে।

    শুধু তাই নয়, অবস্থাদৃষ্টে অনেকের মনে এই প্রশ্ন জাগছে, বাংলাদেশ কি আবার উদ্দেশ্যহীন গন্তব্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে? চাঁদাবাজি, দখলদারি, ছিনতাই, ধর্ষণ, অন্তঃকোন্দল, হত্যা, শিক্ষার্থী নির্যাতন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি ইত্যাদি পুরোনো কায়দায় আবারও শুরু হয়েছে ফ্যাসিবাদী কার্যক্রম। অন্যদিকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকার এসব অপকর্ম থামাতে অনেকাংশেই উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে। জুলাইসহ বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী সন্ত্রাসের শিকার শহীদ পরিবার, আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের বিষয়ে আশানুরূপ রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। বিগত আওয়ামী রেজিমের সময় ছাত্রশিবিরের গুম হওয়া ৭ জন ভাইকে ফিরে পেতে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না।

    জুলাইয়ের ১ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে, অথচ জুলাই সনদ ঘোষণা করতে পারেনি সরকার। আমরা মনে করি, সকল অপতৎপরতার ঊর্ধ্বে জুলাই অভ্যুত্থানকে বিজয় ও বিপ্লবে রূপান্তর করতে প্রয়োজন জুলাই ঘোষণাপত্র। যেখানে জুলাই আন্দোলনে শহীদ, আহত-পঙ্গুত্ববরণকারী ও অংশগ্রহণকারী সকল পক্ষের স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। ফ্যাসিবাদী আমলে সংঘটিত পল্টন ট্র্যাজেডি, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা গণহত্যা, গুম, অবৈধ নির্বাচনসহ সকল অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে হবে। দেশের সঠিক ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে।

    শহীদদে নিয়ে যখন বিভিন্ন মহল দলীয়করণ ও ক্রেডিটের রাজনীতি করার চেষ্টা করছে, ঠিক তখন জুলাই স্পিরিটকে ধরে রাখতে ছাত্রশিবির সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময় থেকে আজ অবধি ছাত্রশিবির ধারাবাহিকভাবে জুলাই অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে নানাবিধ অর্থবহ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। গায়েবানা জানাজা, কবর জিয়ারত, শহীদ পরিবারের খোঁজখবর, সহযোগিতা, ঈদ ও বিভিন্ন দিবস উপলক্ষ্যে শহীদ পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ, “ফ্রেমবন্দি ৩৬ জুলাই” শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী, গণহত্যার বিচারের দাবিতে সপ্তাহব্যাপী আন্দোলন, জুলাই স্মৃতিলিখন প্রতিযোগিতাসহ ছাত্রশিবির ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে।
    এরই অংশ হিসেবে জুলাইয়ের স্মৃতিকে ধারণ, গণহত্যার বিচার নিশ্চিতকরণ, জাতীয় ঐক্য সুসংহত করতে সততা ও দক্ষতায় প্রজন্ম গড়ার প্রতিজ্ঞায় “জুলাই জাগরণ নব উদ্যমে বিনির্মাণ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করছি।

    কর্মসূচিসমূহ :
    ১. সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, রিসার্চ কনফারেন্স, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন।
    ২. শহীদদের কবর জিয়ারত, শহীদ পরিবার ও আহতদের সাথে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়। শাখাভিত্তিক জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে “জুলাই দ্রোহ” শিরোনামে বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন।
    ৩. সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক প্লেসে “জুলাই জাগরণ নব উদ্যমে বিনির্মাণ” শীর্ষক আলোকচিত্র ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী এবং কালচারাল ফেস্ট আয়োজন।
    ৪. জুলাই গ্রাফিতি অঙ্কন।
    ৫. জুলাইয়ের গল্প ও স্মৃতি বলা, স্মৃতিলিখন, বক্তব্য, রচনা, বিতর্ক, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা প্রভৃতি আয়োজন।
    ৬. শহীদদের নামে লাইব্রেরি/পাঠাগার প্রতিষ্ঠা।
    ৭. শহীদ পরিবার, আহত ও আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী গাজীদের নিয়ে “ত্যাগীদের চোখে আগামীর বাংলাদেশ” শীর্ষক সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও পডকাস্টের আয়োজন।
    ৮. জুলাইয়ের ওপর সাহিত্য সাময়িকী ও বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ।
    ৯. জুলাই স্মৃতি লিখন প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান ও জুলাই প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন ও প্রদর্শনী।
    ১০. “Think Back to 36 July” শিরোনামে ৩৬ দিনব্যাপী অনলাইন ক্যাম্পেইন।

    জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ছাত্রসমাজ কেবল স্বৈরশাসনের অবসান ঘটায়নি; তারা জাতির সামনে একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন তুলে ধরেছে। সেই নতুন কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গঠনে প্রয়োজন সৎ, দক্ষ এবং দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব, যা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ। ছাত্ররাজনীতি হলো প্রত্যাশিত জাতীয় নেতৃত্ব গঠনের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। ১৯৪৭ সালে থেকে শুরু করে আজ অবধি বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশজুড়ে আছে ছাত্ররাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
    দেশ ও জাতি গঠনের জন্য সবার আগে প্রয়োজন শিক্ষাব্যবস্থা ও ছাত্ররাজনীতির সংস্কার। ছাত্র সংসদভিত্তিক ছাত্ররাজনীতির ধারা চালুর মাধ্যমেই কেবল সেই সংস্কার অর্থবহ হতে পারে। ছাত্র সংসদ হলো শিক্ষার্থীদের এক বৈধ প্লাটফর্ম, যেখানে তারা ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে ন্যায্য দাবি আদায় করে থাকে। নির্বাচিত প্রতিনিধিও শিক্ষার্থীদের নিকট দায়বদ্ধ থাকে। ফলে শিক্ষাঙ্গনে আধিপত্য বিস্তার ও লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির সংস্কৃতির অবসান ঘটে এবং মুক্তবাক, স্বাধীন বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ জাতীয় নেতৃত্ব ও ছাত্রবান্ধব ছাত্ররাজনীতির বিকাশ লাভ করে।
    ১৯৯০ সালের পর সর্বশেষ ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচন হলেও বিগত তিন দশকের বেশি সময় ধরে দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্রসংসদ নির্বাচন নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। এর পেছনে রয়েছে ক্ষমতাসীনদের একচেটিয়া আধিপত্য কায়েমের দুরভিসন্ধি।
    স্বৈরাচার পতনের পর একটি নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন এখন সময়ের দাবি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রশাসন ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করতে আগ্রহ দেখালেও একটি গোষ্ঠী নির্বাচনকে বানচাল করতে নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে। বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণ, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে। অনেক ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও অদৃশ্য ইশারায় নির্বাচন দিতে গড়িমসি করছে, যা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ছাত্র সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ, যা দেশপ্রেমিক সচেতন ছাত্রসমাজ কখনোই মেনে নেবে না। আমরা অতিদ্রুতই সকল ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা ও তার আলোকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

    সম্প্রতি আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে, ধর্ষণের মতো ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। ৮ বছরের শিশু আছিয়া, গণঅভ্যুত্থানের শহীদ জসিম উদ্দিনের মেয়ে লামিয়া ও গতকাল এক হিন্দু যুবতি ছাড়াও সারা দেশে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, পরীক্ষার্থী, গৃহবধূ, গৃহকর্মীসহ অসংখ্য ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। যার অধিকাংশ ঘটছে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায়। পাশাপাশি ৫ আগস্ট পরবর্তী বিভিন্ন ক্যাম্পাসে পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, আধিপত্য বিস্তার এবং লাশের রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে নানা রকম স্লোগান দিয়ে ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করছে কিছু গোষ্ঠী। আমরা অবিলম্বে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ক্যাম্পাস প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি।

    আমরা বিশ্বাস করি, একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজন সততা, দক্ষতা ও দেশপ্রেম, প্রয়োজন এমন একটি প্রজন্ম, যারা হবে যোগ্য নেতৃত্বের ধারক ও বাহক; যাদের প্রতিটি পদক্ষেপে প্রতিফলিত হবে মেধা ও নৈতিকতার স্বাক্ষর, থাকবে জবাবদিহিতার অনুভূতি। যারা জুলাইয়ের স্পিরিটকে বুকে ধারণ করে অসীম সাহসিকতার সাথে শত বাধা অতিক্রম করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নব উদ্যমে এগিয়ে যাবে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে থাকবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, থাকবে রাজনৈতিক সহনশীলতা। যেখানে থাকবে না ভেদাভেদ ও বৈষম্য। শাসনব্যবস্থা হবে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল।

    আমরা শহীদদের স্বপ্নের আলোকে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা,ফ্যাসিবাদের বিলোপ, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সকল নাগরিকের জন্য নিরাপদ,মর্যাদাপূর্ণ ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন, সম্প্রীতির ‘সবার বাংলাদেশ’। ৩৬ দিনব্যাপী এই কর্মসূচি পালনে ছাত্রশিবিরের জনশক্তি, শুভাকাঙ্ক্ষী ছাত্রসমাজসহ দেশবাসীকে সহযোগিতা করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করছি। সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

    সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মু. মু’তাসিম বিল্লাহ শাহেদী, প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগরীর নেতৃবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন।

  • ২০২৫ সেরা ‘কনটেন্ট ক্রিয়েটর’ নির্বাচিত হলেন রবিন রাফান

    ২০২৫ সেরা ‘কনটেন্ট ক্রিয়েটর’ নির্বাচিত হলেন রবিন রাফান

    রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ১৮তম এজেএফবি (আর্টিস্ট জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ) স্টার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫। অনুষ্ঠানটি শুরু হয় বিকেল ৪টায় এবং সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফারুক হোসেন মজুমদার।

    অনুষ্ঠানে বেস্ট কনটেন্ট ক্রিয়েটর অ্যাওয়ার্ড জয় করেন জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও এআই প্রশিক্ষক রবিন রাফান (ওরফে ওবায়দুর রহমান)। বর্তমানে ছুটিতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করায়, তাঁর পক্ষ থেকে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ব্র্যান্ড প্রোমোটার অরণ্য জিয়া।

    রবিন রাফান বর্তমানে বাংলাদেশের ডিজিটাল জগতে এক অন্যতম পরিচিত নাম। তিনি কেবল কনটেন্ট নির্মাতা নন, বরং একজন বেস্টসেলিং লেখক ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত এআই ইনস্ট্রাক্টর, যিনি ইতোমধ্যে হাজার হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন কনটেন্ট নির্মাণ, ফ্রিল্যান্সিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে। তাঁর তৈরি ভিডিও, বই ও প্রশিক্ষণ সিরিজগুলো আজ দেশের পাশাপাশি প্রবাসী বাঙালিদের মাঝেও দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

    রবিনের কনটেন্টগুলোতে যেমন থাকে বাস্তব জীবনের প্রাসঙ্গিক বার্তা, তেমনি থাকে শিক্ষনীয় তথ্য, প্রযুক্তির সহজ ব্যাখ্যা, ও সমাজ সচেতনতা।

    তরুণ প্রজন্মের জন্য তিনি অনুপ্রেরণার একটি আধুনিক প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছেন। অনুষ্ঠানে আরও আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয় দেশের বরেণ্য চিত্রনায়ক আলীরাজকে। বিশেষ সম্মাননা অর্জন করেন জনপ্রিয় অভিনেতা হেলাল খান।

  • পাকিস্তানের কাছে যুদ্ধবিমান হারানোর কথা অবশেষে মেনে নিল ভারত

    পাকিস্তানের কাছে যুদ্ধবিমান হারানোর কথা অবশেষে মেনে নিল ভারত

    প্রথমবারের মতো ভারতের একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন যে পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক বড় আকারের পালটা পালটি হামলায় ভারতের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে। দ্য ওয়ায়ারের খবরে বলা হয়েছে, এই ক্ষতির জন্য ভারতের সামরিক ব্যর্থতাকে নয়, বরং দিল্লির ‘রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতাকে’ দায়ী করা হয়েছে।

    সোমবার (৩০ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জিও নিউজ।

    ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় এক সেমিনারে বক্তব্য দিতে গিয়ে ভারতের নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন শিব কুমার নিশ্চিত করেন, গত ৭ মে পাকিস্তান এয়ারফোর্সের (পিএএফ) সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় আকাশযুদ্ধে ভারতীয় জেট ভূপাতিত হয়েছিল।

    ‘হ্যাঁ, আমরা কিছু বিমান হারিয়েছি,’ দ্য ওয়ায়ারের বরাত দিয়ে কুমারের স্বীকারোক্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

    জাকার্তায় ভারতীয় দূতাবাস থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধীনে কাজ করে, যা আমাদের প্রতিবেশী কিছু দেশের মতো নয়।’

    তবে, কুমার সঠিক কতগুলো বিমান হারিয়েছে তা জানাননি, শুধু বলেছেন, ‘যত বলা হচ্ছে, ততটা নয়।’

    তিনি বলেন, ভারতের বেসামরিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনা টার্গেট না করার নির্দেশনা দিয়েছিল, যা পাকিস্তানের জন্য একটি ‘অপারেশনাল সুবিধা’ তৈরি করে।

    ভারতে এই বিরল স্বীকারোক্তি রাজনৈতিক আলোড়ন তৈরি করেছে।

    তবে কুমার বলেছেন, ‘আমি একমত নই যে আমরা এতগুলো বিমান হারিয়েছি।’

    তিনি আরও বলেন, ‘এই ক্ষতির পর আমরা আমাদের কৌশল পরিবর্তন করি এবং পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করি। প্রথমে আমরা তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দমিয়ে দিই, তারপর সহজেই ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আমাদের আক্রমণ কার্যকর করি।’

    দ্য ওয়ায়ারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুমার জানিয়েছেন, মোদি সরকারের কড়া নির্দেশনার কারণে ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলো পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনা বা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম টার্গেট করতে পারেনি।

    এর আগে সিঙ্গাপুরে ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান বলেন, ‘কতগুলো বিমান হারিয়েছি সেটাই বড় বিষয় নয়, বরং কেন হারিয়েছি, সেটাই আসল বিষয়।’

    পাকিস্তান এয়ারফোর্স (পিএএফ) এর আগে জানায়, ৭ মে রাতে হওয়া সংঘর্ষে তারা ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।

    ওই সংঘর্ষের আগে ভারত পাকিস্তানের সিয়ালকোট, বাহাওয়ালপুর এবং আজাদ কাশ্মীরসহ ছয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

    যেসব বিমান ভূপাতিত হয়েছে, তার মধ্যে তিনটি ফ্রান্সের তৈরি রাফালে জেটও ছিল, যা ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষার বড় সংযোজন হিসেবে বিবেচিত হতো।

    এই সংঘাতের আগে ভারতীয় অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগামে এক হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। ভারত এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে, যদিও পাকিস্তান তা ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রত্যাখ্যান করে।

    ওই ঘটনা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক উত্তেজনা তৈরি করে।

    ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস মোদি সরকারের সমালোচনা করে বলেছে, ‘অপারেশন সিদুঁর’ চলাকালে কত বিমান হারিয়েছে তা জনগণকে না জানিয়ে সরকার জাতিকে বিভ্রান্ত করেছে।

    দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে এই যুদ্ধ সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বড় সামরিক উত্তেজনা হিসেবে অঞ্চলজুড়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

  • মোহাম্মদপুর ও আদাবরে বিশেষ অভিযানে ২৮ জন গ্রেপ্তার

    মোহাম্মদপুর ও আদাবরে বিশেষ অভিযানে ২৮ জন গ্রেপ্তার

    অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানাধীন বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

    মোহাম্মদপুর থানা সূত্র জানিয়েছে, শনিবার (২৮ জুন) দিনব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়ে থানা এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- ১। আব্দুল লতিফ (৫২), ২। লালমিয়া (১৯), ৩।  কবিরুল (২০), ৪। তরিকুল (২১), ৫। রুবেল (২৬), ৬। তৌহিদুল আলম মাহিম (২৭), ৭। ফাহাদ (২০), ৮। সুমন (২২), ৯। দেলোয়ার দিলু (৩৫), ১০। নুরুল ইসলাম (৩২), ১১। আরমান (৩৭), ১২। নাদিম (৪০), ১৩।  তাসিব টাইকা (২২), ১৪। আনোয়ার (৪৫), ১৫। জুলহাস (৩৫) ও ১৬। টিপু (৪০)। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি সামুরাই, একটি রামদা ও একটি লোহার তৈরি কুড়াল উদ্ধার করা হয়।

    অন্যদিকে আদাবর থানা সূত্র জানায়, শনিবার অত্র থানার অপরাধ প্রবণ এলাকা গুলোতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- ১। আলামিন (২২), ২। শাওন হাওলাদার (২০), ৩। আজিজুল হক (৩৭), ৪। নুর উদ্দিন ইসলাম (১৮), ৫। নাদিম হোসেন (২০), ৬।  রনি বেপারী (২৩), ৭। শাহিনুর ইসলাম (২২), ৮।  রাজু আহম্মেদ (৩২), ৯। রিজিকা (৪৫), ১০।মরিয়ম (২১), ১১। রাজু (২০) ও ১২। সুজন (২২)। এ সময় তাদের হেফাজত হতে  দুই কেজি গাঁজা, একটি চাপাতি ও একটি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়।

    ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উভয় থানায় গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে চিহ্নিত মাদক কারবারি, পেশাদার ছিনতাইকারী, চোর, চাঁদাবাজ ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

  • পরীক্ষার হলে মোবাইল দেখে লিখেছিলেন এইচএসসি পরীক্ষার্থী, অতঃপর…

    পরীক্ষার হলে মোবাইল দেখে লিখেছিলেন এইচএসসি পরীক্ষার্থী, অতঃপর…

    চট্টগ্রামে এইচএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে নকলের অভিযোগে দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন মোবাইল ফোন থেকে দেখে পরীক্ষাকেন্দ্রে নকল করছিলেন, অপরজনের কাছে পাওয়া গেছে হাতে লেখা নকল।

    রোববার (২৯ জুন) বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় এই দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। তাদের মধ্যে একজন হাটহাজারীর নাজিরহাট কলেজ কেন্দ্রের এবং অপরজন মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ মহিলা কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী।

    চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নাজিরহাট কলেজের শিক্ষার্থী মোবাইল ফোনে সংরক্ষিত উত্তর দেখে নকল করছিলেন। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করে মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়। অন্যদিকে, জোরারগঞ্জ কেন্দ্রের শিক্ষার্থী পরীক্ষার হলে হাতে লেখা নকল নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন। তাকেও বহিষ্কার করা হয়।

    চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী বলেন, ‘পরীক্ষার হলে নকল করার দায়ে দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একজনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমাদের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।’

    চট্টগ্রাম বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ওই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৮৮ হাজার ৩৭৮ জন শিক্ষার্থী। অনুপস্থিত ছিলেন ১ হাজার ২৩৫ জন। চট্টগ্রাম জেলা ছাড়া কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলায় এদিন কোনো বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেনি।

  • খামেনির প্রাণ বাঁচিয়েছি, ধন্যবাদ লাগবে না: ট্রাম্প

    খামেনির প্রাণ বাঁচিয়েছি, ধন্যবাদ লাগবে না: ট্রাম্প

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে একটি ‘খুবই অপমানজনক ও ভয়াবহ মৃত্যু’ থেকে রক্ষা করেছেন। কিন্তু এর জন্য তাকে ধন্যবাদ দেওয়ার দরকার নেই।
    ট্রাম্প শুক্রবার (২৭ জুন) তার ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে বলেন, আমি জানতাম তিনি (খামেনি) কোথায় লুকিয়ে ছিলেন। আমি ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীকে তার জীবন শেষ করতে দেইনি।

    তিনি আরও লেখেন, আমি তাকে একটি ভয়ানক ও লজ্জাজনক মৃত্যু থেকে রক্ষা করেছি। আর তার জন্য আমাকে ধন্যবাদ জানাতে হবে না!

    এর আগে বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে খামেনি বলেছিলেন, ‘আমরা আমেরিকার মুখে একটি কঠিন চপেটাঘাত করেছি।’ তার এই মন্তব্যের পরই ট্রাম্পের পাল্টা প্রতিক্রিয়া আসে।

    রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৬ জন ছিলেন বিজ্ঞানী ও ১০ জন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা। প্রথম দিনের ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন আইআরজিসির মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, পরমাণু বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি এবং আইআরজিসি কমান্ডার হোসেইন সালামি।

    জানাজায় অংশ নেন প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান, কুদস ফোর্সের প্রধান এসমাইল কানি এবং খামেনির উপদেষ্টা আলী শামখানি। শামখানি যুদ্ধে আহত হওয়ার পর এই প্রথমবার প্রকাশ্যে এসেছেন। তিনি লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটছিলেন।

    ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাতে ইরানে অন্তত ৬১০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৩ জন শিশু ও ৪৯ জন নারী। আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৭০০ জনের বেশি।

    ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ২৮ জন এবং আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৪৩ জন।

     

    facebook sharing button
    messenger sharing button
    whatsapp sharing button
    twitter sharing button
    sharethis sharing button
  • এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ হওয়া মাহিরা উদ্ধার

    এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ হওয়া মাহিরা উদ্ধার

    এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হওয়া মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থী মাহিরা বিনতে মারুফ পুলিকে উদ্ধার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।  

    রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া মাহিরাকে সাভার থেকে উদ্ধার করা হয় রোববার (২৯ জুন) দিনগত রাতে।

    র‍্যাব-৪ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপস) কে এন রায় নিয়তি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধারপ্রাপ্ত মাহিরাকে আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

    এর আগে, রোববার সকাল ৮টার দিকে এইচএসসি পরীক্ষার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন মাহিরা। দুপুর ১টার দিকে এইচএসসির পরীক্ষার সময় শেষ হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি বাসায় ফেরেননি। উদ্বিগ্ন পরিবারের সদস্যরা পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে জানতে পারেন, মাহিরা পরীক্ষায় উপস্থিতই হননি।

    এ ঘটনার পরপরই সন্ধ্যায় রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে মাহিরার পরিবার। এরপর থেকেই তাকে খুঁজতে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

  • ৩০ জুন: ইতিহাসে আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল

    ৩০ জুন: ইতিহাসে আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল

    আজ রোববার, ৩০ জুন ২০২৪। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়। ৩০ জুন গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ১৮১তম (অধিবর্ষে ১৮২তম) দিন। বছর শেষ হতে আরো ১৮৪ দিন বাকি রয়েছে।

    ঘটনাবলি:

     

    ০৬৫৬ – ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী (রা.) খেলাফত লাভ করেন।
    ১২৯৪ – সুইজারল্যান্ডের বার্ন থেকে ইহুদিদের বিতাড়ন করা হয়।
    ১৭৫৫ – ফিলিপাইনে ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী সব চায়নিজ রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেয়।
    ১৭৫৭ – বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ত্রিশ হাজার সেনা নিয়ে ইংরেজ অধিকৃত কোলকাতা দখল করেন।
    ১৭৫৭ – নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা স্বীয় পত্নী ও কন্যাসহ পালিয়ে যাবার সময় পথিমধ্যে রাজমহলে রাত কাটাতে গিয়ে তিনি ধরা পড়েন।
    ১৭৭২ – বাংলাদেশের রংপুরে ফকির মজনু শাহ জেহাদ শুরু করেন।
    ১৮৫৫ – ব্রিটিশবিরোধী সাঁওতাল বিদ্রোহ সংঘটিত হয়।
    ১৮৮৬ – ন্যায়বান গভরমেন্ট দক্ষিণ সাহাবাজপুর পরগনা কোর্ট অব ওয়ার্ডসের শাষনাধীনে গ্রহণ করে বাবু পিতাম্বর বন্ধ্যোপাধ্যায়কে অস্থায়ী ম্যানেজার নির্ধারণ করে দৌলতখায় প্রেরণ করে।
    ১৮৯৪ – কোরিয়া চীন থেকে স্বাধীনতা পেয়ে জাপানের সহযোগিতা কামনা করে।
    ১৮৯৪ – লন্ডন টাওয়ার ব্রিজ উদ্বোধন করা হয়।
    ১৯০৮ – রাশিয়ার সাইবেরিয়ার বৈকাল হ্রদের উত্তর-পশ্চিমের দুর্গম পার্বত্য এলাকা টাঙ্গুস্কায় এক প্রচন্ড শক্তির বিস্ফোরন ঘটে।
    ১৯১৬ – রাশিয়া ও জাপানের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
    ১৯২০ – আয়াতুল্লাহ মীর্যা মোঃ ত্বাক্বী শিরাজীর নেতৃত্বে ইরাকের জনগণ বৃটিশ দখলদারদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করে।
    ১৯৩৪ – জার্মানিতে ফ্যাসিবাদী হিটলারের বিরোধীতা করায় প্রায় এক হাজার লোককে হত্যা করা হয়।
    ১৯৩৭ – বিশ্বে প্রথম আপৎকালীন টেলিফোন নম্বর ‘৯৯৯’ চালু হয় লণ্ডনে।
    ১৯৪১ – নাজি গ্রুপের অনুসারীরা ইউক্রেনের স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
    ১৯৫৭ – আওয়ামী লীগের প্রাদেশিক প্রধান, মাওলানা ভাসানী দলের সভাপতি হিসেবে পদত্যাগ করেন।
    ১৯৬০ – কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র বা জায়ার স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
    ১৯৬৯ – নাইজেরীয় সরকার বায়াফ্রায় পাঠানো রেডক্রসের সব ধরনের সাহায্য বন্ধ করে দেন।
    ১৯৭১ – ‘নিউইয়র্ক টাইমস’- এর প্রতিনিধি সিডনি শ্যানবার্গকে ঢাকা থেকে বহিষ্কার করা হয়।
    ১৯৭১ – মুক্তিযোদ্ধারা তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে নীলমনিগঞ্জ, হালসা ও আলমডাঙ্গা রেল লাইন বিষ্ফোরকের সাহায্যে উড়িয়ে দিয়ে পাকসেনাদের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
    ১৯৭৪ – বিশিষ্ট রাজনীতিক ভাষাসৈনিক জাতীয় লীগ প্রধান জনাব অলি আহাদ বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক হন।
    ১৯৭৯ – সুদানের জেনারেল ওমর আল বাশীর অভ্যন্তরীন সংকটের সম্মুখীন সুদানের সাদেক আল মাহদীর সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন।
    ১৯৯১ – দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদী শাসনের অবসান ঘটে।
    ১৯৯৩ – ভারতে বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার প্রতিবাদে ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে লাখো জনতা অযোধ্যা অভিমুখে প্রতীকি লংমার্চ শুরু করেন।
    ১৯৯৭ – বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চীনের কাছে হংকং হস্তান্তর করা হয়।
    ২০০০ – সমাপ্য অর্থ বত্সরের কার্যাদি নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল হইতে অর্থ প্রদান ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদানের জন্য আইন প্রণয়ন করা হয় ৷
    ২০০২ – বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাটকল আদমজী জুট মিল বন্ধ করে দেয় বিএনপি জোট সরকার৷
    ২০০৪ – গণপূর্ত অধিদপ্তর মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে।
    ২০০৮ – র‌্যাব সাইকি ভবনের মালিক পীরজাদা, মহাগুরু, জ্যোতিষ সম্রাট আর ভণ্ড বাবা ড. জীবন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে ।
    ২০০৯ – গ্রামীণ মহিলা উন্নয়ন প্রকল্প সমাপ্ত হয়।
    ২০১১ – বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ হয়।

    জন্ম:

    ১৪৭০ – অষ্টম চার্লস, ফ্রান্সের রাজা।
    ১৮০১ – ফ্রেডেরিক বাস্টিয়াট, ফরাসি অর্থনীতিবিদ ও তাত্তিক।
    ১৮১৭ – জোসেফ ডালটন হুকার, ব্রিটিশ উদ্ভিদ্বিজ্ঞানী এবং অভিযাত্রী। (মৃ. ১৯১১)
    ১৮৮৪ – জর্জ ডুহামেল, ফরাসি লেখক।
    ১৮৯৩ – ওয়াল্টার উলব্রিচত, জার্মান কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদ। (মৃ. ১৯৭৩)
    ১৯০৬ – অ্যান্টনি মান, মার্কিন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক। (মৃ. ১৯৬৭)
    ১৯১১ – চেসোয়াফ মিওশ, পোলীয়-মার্কিনী কবি, লেখক, শিক্ষাবিদ এবং অনুবাদক। (মৃ. ২০০৪)
    ১৯১৭ – সুজান হেওয়ার্ড, আমেরিকান অভিনেত্রী। (মৃ. ১৯৭৫)
    ১৯২৬ – পল বার্গ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান প্রাণরসায়নী।
    ১৯৩৩ – এম. জে. কে. স্মিথ, সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।
    ১৯৩৯ – হোসে এমিলিও পাচেকো, মেক্সিকোর তরুণ প্রজন্মের শীর্ষসারির কবি, উপন্যাসিক, নাট্যকার, ছোটগল্পকার, অনুবাদক ও প্রাবন্ধিক।
    ১৯৪১ – পিটার পোলক, সাবেক ও বিখ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।
    ১৯৪৩ – সৈয়দ আখতার মির্জা,ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনাট্যকার, চলচিত্র পরিচালক।
    আহমদ ছফা, বাংলাদেশী লেখক, চিন্তক ও ঔপন্যাসিক।
    ১৯৫৪ – সেরযহ সারগসয়ান, আর্মেনিয় রাজনীতিবিদ ও ৩য় প্রেসিডেন্ট।
    ১৯৬৩ – য়ংওইয়ে মাল্মস্টেন, সুইডিশ গিটারিষ্ট ও গীতিকার।
    ১৯৬৪ – মার্ক ওয়াটার্স, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক।
    ১৯৬৫ – গ্যারি প্যালিস্টার, ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড়।
    ১৯৬৬ – মাইক টাইসন, মার্কিন পেশাদার বক্সিং খেলোয়াড়।
    ১৯৬৯ – সনাথ জয়াসুরিয়া, শ্রীলংকার সাবেক ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ।
    ১৯৭৭ – জুস্টো ভিলার, প্যারাগুয়ের ফুটবলার।
    ১৯৭৮ – লুসিয়ানা লেওন লুসি, ছোটবেলা থেকে রাজনীতির মাঠে এবং অসংখ্য তরুণের মনে ঝড় তোলেন।
    ১৯৮০ – রায়ান টেন ডেসকাট, নেদারল্যান্ডসের ক্রিকেটার।
    ১৯৮৩ – শেরিল কোল, ইংরেজ গায়ক, গীতিকার, ড্যন্সার ও মডেল।
    ১৯৮৫ – মাইকেল ফেলপস, মার্কিন সাঁতারু এবং ২৩ টি অলিম্পিক স্বর্ণ পদক বিজয়ী।
    ১৯৮৬ – ফ্রেডয় গুয়ারিন, কলম্বিয়ান ফুটবলার।

    মৃত্যু:

    ০৭১৩ – ইমাম জয়নুল আবেদিন, ইসলামের মহান বার ইমামদের মধ্যে অন্যতম।
    ১৬৬০ – উইলিয়াম অউগট্রেড, ইংরেজ মন্ত্রী ও গণিতবিদ।
    ১৭১৭ – নবাব মুর্শিদ কুলি খান, বাংলার প্রথম নবাব।
    ১৮৩৯ – দ্বিতীয় মাহমুদ খাঁ, তুর্কি সুলতান।
    ১৯১৭ – দাদাভাই নওরোজি, বৃটিশ পার্লামেন্টের প্রথম ভারতীয় সদস্য।(জ.০৬/০৯/১৮২৫)
    ১৯১৯ – জন উইলিয়াম স্ট্রাট ৩য় ব্যারন রেলি, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী।
    ১৯৩৪ – কার্ট ভন সচলেইচের, জার্মান জেনারেল, রাজনীতিবিদ ও ২৩ তম চ্যান্সেলর।
    ১৯৫৯ – খ্যাতনামা বাঙালি অভিনেতা ও নাট্যাচার্য শিশিরকুমার ভাদুড়ী(জ.০২/১০/১৮৮৯)
    ১৯৬২ – প্রমীলা নজরুল, বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের পত্নী। (জ.১৯০৮)
    ১৯৭১ – ভ্লাডিস্লাভ ভোল্কোভ, রাশিয়ান প্রকৌশলী ও মহাকাশচারী।
    ১৯৭৪ – এ্যালবার্ট কিং, মার্টিন লুথার কিং এর মা।
    ২০০১ – চ্যাট অ্যাটকিন্স, আমেরিকান গায়ক, গীতিকার, গিটার ও প্রযোজক।
    ২০০৩ – বাডি হাকেট, আমেরিকান অভিনেতা ও কৌতুকাভিনেতা।
    ২০০৯ – পিনা বাউসচ্, জার্মান ড্যন্সার, কোরিওগ্রাফার ও পরিচালক।
    ২০১৪ – পল মাযুরস্কয়, আমেরিকান অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।

    ছুটি ও অন্যান্য:

    হুল দিবস বা সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস।(ভারত-পশ্চিমবঙ্গ)
    আন্তর্জাতিক রবীন্দ্রকাব্যপাঠ দিবস।