Author: নিজস্ব প্রতিবেদক

  • ঢাকা ডিবেটিং সোসাইটি (DDS) এর নতুন কমিটি ঘোষণা

    ঢাকা ডিবেটিং সোসাইটি (DDS) এর নতুন কমিটি ঘোষণা

    ঢাকার অন্যতম সুপরিচিত বিতর্ক সংগঠন ঢাকা ডিবেটিং সোসাইটি (DDS) ২০২৫ সালের জন্য তাদের নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ ঘোষণা করেছে। নবনির্বাচিত এই কমিটি আগামী ২০ জুন থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত সংগঠনের দায়িত্ব পালন করবে।

    নতুন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বিতার্কিক ইয়াহইয়া যুবায়ের এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছেন  জাকারিয়া হোসেন।

    এক যৌথ ঘোষণায় সংগঠনের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিতর্ক কেবল প্রতিযোগিতা নয়, এটি একটি মানসিক অনুশীলনক্ষেত্র। যেখানে গড়ে ওঠে নেতৃত্ব, বিকশিত হয় যুক্তিবোধ, আর জাগ্রত হয় সমাজ সচেতনতা। আমরা বিশ্বাস করি, নতুন নেতৃত্বের হাত ধরে DDS আরও এগিয়ে যাবে।”

     

    ২০২৫ সালের পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি:

    পদবি             নাম

    সভাপতি          ইয়াহইয়া যুবায়ের
    সহ-সভাপতি       আরমান খান
    সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া হোসেন
    যুগ্ম সম্পাদক    নাবিল আহমেদ
    সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেন
    দপ্তর সম্পাদক    আবু বকর সিদ্দীক
    অর্থ সম্পাদক     হাসনাইন আহামেদ
    প্রচার সম্পাদক   আহমদ চৌধুরী
    নির্বাহী সদস্য   আমিনুল ইসলাম
    নির্বাহী সদস্য   মো. রফিকুজ্জামান

     

    নতুন কমিটির প্রত্যাশা, বিতর্ক চর্চাকে আরও জনসম্পৃক্ত, প্রগতিশীল ও গবেষণাভিত্তিক করে গড়ে তোলা। তরুণ প্রজন্মকে যুক্তির আলোয় আলোকিত করতে এই কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেই মনে করছেন সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ।

  • করোনার নতুন ধরন: আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন সচেতনতা

    করোনার নতুন ধরন: আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন সচেতনতা

    ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ রূপ দেখেছিল সারা বিশ্ব। পাঁচ বছরের ব্যবধানে করোনা ভাইরাস ফের নতুন রূপে ফিরে এসেছে।

    ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ বাড়ছে। পাশাপাশি ভাইরাসটির নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশেও ইতোমধ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়ছে দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ।

     

    রোগতত্ত্ববিদরা বলছেন, ২০২০ সালের শুরুতে করোনা মহামারি দেখা দেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে ভাইরাসটি মিউটেশনের মাধ্যমে (জিনগত উপাদানের পরিবর্তন-জিনোম) একাধিক উপধরন ছড়িয়েছে। যেগুলোর কোনো কোনোটি অনেক শক্তিশালী হওয়ায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হারও বেড়েছে।

    বর্তমানে করোনার নতুন যে উপধরন সংক্রমণ বাড়াচ্ছে, সেটির সংক্রামিত করার ক্ষমতা অনেক বেশি হলেও এতে রোগেও তীব্রতা কম। করোনার নতুন এ ধরনটি প্রাণঘাতী না হলেও অসাবধানতা ও অচেতনতায় ধরনটি যেকোনো সময় শক্তিশালীও হয়ে উঠতে পারে। তাই যথেষ্ট সতর্ক ও সচেতনতা আবশ্যক।

    গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ছয়জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছরে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৯৩ জনের। যার মধ্যে চলতি মাসের ২০ দিনেই শনাক্ত হয়েছেন ২৩৫ জন। এ যাবৎ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৫১ হাজার ৯৩৮ জন।

    গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। চলতি বছরে সাতজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এই সাতজনই জুন মাসের ২০ দিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ যাবৎ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৫০৬ জন।

    সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালসহ সারাদেশেই করোনা পরীক্ষার কিটের স্বল্পতা রয়েছে। কিটের স্বল্পতা না থাকলে আরও বেশি করোনা পরীক্ষা করা গেলে শনাক্তের হারও বাড়বে।

    সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বর্তমান উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, বাংলাদেশসহ থাইল্যান্ড, চীন ও ভারতেও করোনার কিছু নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হচ্ছে। যেগুলো দ্রুত সংক্রমিত করতে পারে। তবে বর্তমানে পাওয়া যাওয়া উপধরনগুলো আগের মতো প্রাণঘাতী নয়। সাধারণ জ্বর, সর্দি বা মৌসুমি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতো। কিন্তু এখন থেকেই স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে গুরুত্ব না দিলে এটি আরও বাড়তে পারে। সংক্রমণ বাড়লে মৃত্যুও বাড়বে।

    আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইইডিসিআর) পরিচালিত সর্বশেষ কোভিড-১৯ সার্ভিলেন্স ‘ন্যাশনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা সার্ভিলেন্স ও পিএইচওসি’ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরের মে থেকে দেশে করোনা সংক্রমণের হার উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে শুরু করেছে।

    গেল মাসে ১ হাজার ৪০৯ জন সম্ভাব্য কোভিড-১৯ রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৩৪ জন পজিটিভ শনাক্ত হন, যা পরীক্ষার ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। এটি ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের মে সময়কালে সর্বোচ্চ হার। এর আগে ২০২৩ সালের মে-আগস্ট এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারি-আগস্টে সংক্রমণের হার ছিল ১ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি। সর্বশেষ পাওয়া নমুনাগুলোর জিনোম সিকুয়েন্সিং করে ‘ওমিক্রন বিএ ২.৮৬’ ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, যা এর আগেও দেশে শনাক্ত হয়েছিল।

    আইসিডিডিআর,বি চলতি বছর সংক্রমণ বাড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে নতুন দুটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট এক্সএফজি ও এক্সএফসি বাড়ার তথ্য তুলে ধরে। চলতি জুনের প্রথম ১০ দিনে ১৪টি জিনোম সিকুয়েন্স করা হয়। এর মধ্যে ১২টিতেই এ ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, যা ওমিক্রন জেএন.১-এর একটি উপশাখা। সম্প্রতি যেসব নমুনা পাওয়া যাচ্ছে, এর প্রায় সবকটিতে এক্সএফজি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।

    করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ইতোমধ্যে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১১টি নির্দেশনা দিয়েছে।

    সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসাধারণের করণীয়
    ১. জনসমাগম যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন এবং উপস্থিত হতেই হলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন।

    ২. শ্বাসতন্ত্রের রোগসমূহ থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।

    ৩. হাঁচি-কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন।

    ৪. ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনা যুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন।

    ৫. ঘন ঘন সাবান, পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।

    ৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না।

    ৭. আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।

    সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়
    ১. জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন।

    ২. রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন।

    ৩. রোগীর সেবাদানকারীরাও সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করুন।

    ৪. প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে অথবা আইইডিসিআর (০১৪০১-১৯৬২৯৩) অথবা স্বাস্থ্য বাতায়ন (১৬২৬৩) এর নম্বরে যোগাযোগ করুন।

    স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক ও আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, করোনা বিষয়ে আমরা যে খুব আতঙ্কগ্রস্ত তা নয়। করোনা এখনও অনেক বেশি পুরোনো রোগ নয়। মহামারিকালে করোনা অদ্ভুত আচরণ করেছে, যেভাবে ক্ষণে ক্ষণে তার রূপ বদলিয়ে আবির্ভূত হয়েছে এবং সংক্রমণ ঘটিয়েছে সেসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে একেবারের যে ঝুঁকি নেই, অনেক বড় কিছু ঘটবে না এটা বলতে বা মনে করতে চাই না। আমরা বলতে চাই যে করোনা বর্তমানে ঋতুভিত্তিক একটি রোগে পরিণত হয়েছে। এটাকে মোকাবিলায় আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত অনতিবিলম্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে থোক বরাদ্দ ও নির্দেশনা দেওয়া। করোনা ও ডেঙ্গু কোনোটাকেই আমরা হালকাভাবে নিতে পারি না। এই রোগ দুটি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। প্রস্তুতি হবে দুটি একটা প্রতিরোধ, আরেকটা কারও রোগ হয়ে গেলে তার চিকিৎসা।

    স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সদস্য বিশিষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে আতঙ্কের বিষয় নেই, তবে সতর্ক থাকতে হবে। করোনা কোনোদিন দেশ থেকে একেবারে চলে যাবে না। এটা সিজন ভেদে সিজনাল ফ্লুর মতো কোথাও হঠাৎ বাড়বে, আবার কমবে। অন্যান্য সিজন ফ্লু যেমন আছে, এটাও তেমনিভাবে পৃথিবীতে থেকে যাবে।

    তিনি আরও বলেন, এখন যে ধরনটি আছে, এটা খুব বেশি সংক্রামক হলেও প্রাণঘাতী না। এটা ওমিক্রন ধরনের একটা উপধরন। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যমতে বর্তমানে যে টিকা ও কিট সেটা এদের বিরুদ্ধে প্রয়োগযোগ্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ধরনকে ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন হিসেবে বিবেচনা করেনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটাকে আন্ডার মনিটরিং বলছে। অর্থাৎ নজরদারিতে রাখতে হবে।

    করোনা প্রতিরোধ বিষয়ে অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী বলেন, আমাদের উচিত করোনার কোন ভ্যারিয়েন্ট আসছে, সেগুলোর সিকোয়েন্সিংয়ের ব্যবস্থা করা। রোগীদের তাড়াতাড়ি শনাক্তের ব্যবস্থা করতে হবে। সাধারণ করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। অতি ঝুঁকিপূর্ণদের বেশি সতর্ক থাকতে হবে। তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিনের আরেকটি ডোজ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের হাসপাতাল ও চিকিৎসাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যেন প্রস্তুত থাকে। এটা নিয়ে আমরা যেন আতঙ্ক না ছড়াই।

     

    সংগৃহিত

  • আগামী নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর একটি ভোটবাক্স থাকবে : গোলাম পরওয়ার

    আগামী নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর একটি ভোটবাক্স থাকবে : গোলাম পরওয়ার

     

    জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় আগামী নির্বাচনে দেশপ্রেমিক শক্তিকে বিজয়ী করতে হবে। কোনো বিদেশি প্রভুর কথায় আর দেশ চলবে না। নিজেরাই নিজেদের শক্তি নিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ। দেশের ইসলামী দলগুলোর মাঝে এক ধরনের সমঝোতা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর একটি ভোটবাক্স থাকবে।

    শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ আল ফারুক মিলনায়তনে থানা মজলিসে শুরা/কর্মপরিষদ সদস্য ও টিম সদস্যদের নিয়ে শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার দিল্লির প্রেসক্রিপশনে বার বার ক্ষমতায় এসে দেশের আলেম-উলামাদের ওপর জেল-জুলুম, নির্যাতন করেছে। জামায়াতের নেতাকর্মীদের প্রতিটি আসনে আগামী নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে প্রতিটি বাড়ি, পাড়া ও মহল্লায় মহল্লায় কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি। আগামী নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে দেশে ইসলামী বিপ্লব করতে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতেও বলেন।

    তিনি বলেন, জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে অর্জিত বিজয় হাতছাড়া হয়ে যাবে, যদি এ দেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি ঐক্যবদ্ধ না হয়। নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। সে লক্ষ্যেই জামায়াতে ইসলামী কাজ করছে।

    মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) যে আদর্শের মাধ্যমে তার সাথীদেরকে উন্নত নৈতিকতায় সমৃদ্ধ করে একটি সোনার রাষ্ট্র তৈরি করেছিলেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও সেই আদর্শকে ধারণ করে এদেশে একদল মানুষকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আজ এদেশের জনগণ নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তনে সত্যিকার নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে দেখতে চায়। তারা জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বকে গ্রহণ করতে ব্যাকুল হয়ে আছে। দেশে যদি নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে দেশের অধিকাংশ মানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটবে ইনশাআল্লাহ।

    তিনি জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের গণমুখী কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সমাজের মানুষের সেবা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আন্দোলনকে গতিশীল করতে শুধু গণসংযোগের মধ্যে থাকলে হবে না বা শুধু বই-পুস্তক পড়ে লিডারশিপ অর্জন করা সম্ভব নয়। লিডারশিপ অর্জন করতে হলে মাঠে-ময়দানে লড়াই-সংগ্রাম করতে হবে। সকল স্তরের মানুষের সাথে কথা বলা এবং যোগ্য লোক তৈরি করা। প্রত্যেকটি কাজ পরিকল্পনার আলোকে ধারাবাহিকভাবে করতে হবে। দাওয়াতি কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়ে জনমতকে ইসলামের অনুকূলে আনতে হবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও শ্রমজীবী সংগঠনের সাথে সু-সম্পর্ক তৈরি করা প্রত্যেক নেতৃবৃন্দের মৌলিক কাজ।

    জামায়াত নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ইসলামী আন্দোলন সম্পর্কে আমাদের সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে। ইসলামী আন্দোলনের দায়িত্বশীলদের ব্যবহারিক জীবন অন্যের কাছে অনুকরণীয় হতে হবে। সমাজের মানুষের কাছে জামায়াতে ইসলামীর একজন দায়িত্বশীল হিসেবে আচার-ব্যবহার মাধুর্যপূর্ণ হতে হবে। অনাচার পাপাচারে ভরা জাহেলী জনগোষ্ঠীর সামনে প্রিয় রাসুল (সা.) চারিত্রিক মাধুর্যতা দিয়ে তাদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ইসলামী আন্দোলনের দায়িত্বশীলদেরকেও তেমন চারিত্রিক গুণাবলীর অধিকারী হতে হবে। একটি প্রতিষ্ঠিত জাহেলিয়াতকে উৎখাত করে এই জমিনে মহান আল্লাহ তায়ালার দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আমাদের কাজ হচ্ছে নিজের জান-মালের কুরবারি পেশ করে ইসলামী আন্দোলনের সত্যিকার কর্মী হওয়া। প্রতিষ্ঠিত জাহেলিয়াতের বিরুদ্ধে আমরা সংগ্রাম করছি। এ কাজ সহজ নয়, সকল যুগেই ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ছিল একথা সত্য। বাংলাদেশেও জামায়াতে ইসলামী কোনো ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার চিন্তা করে না। রাজনৈতিক পরিসরে এখানেও আমাদের শক্ত প্রতিপক্ষ রয়েছে।

    জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের পরিচালনায় শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম ও মুহাদ্দিস রবিউল বাশার।

    অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শাহ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, আজিজুল ইসলাম ফারাজৗ, অফিস সেক্রেটারি মীম মিরাজ হোসাইন, কর্মপরিষদ সদস্য মুকাররম বিল্লাহ আনসারী, ইঞ্জিনিয়ার মোল্লা আলমগীর, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, মাওলানা শাহারুল ইসলাম, মাওলানা শেখ মো. অলিউল্লাহ, খুলনা সদর থানা আমীর এস এম হাফিজুর রহমান, সোনাডাঙ্গা থানা আমীর জি এম শহীদুল ইসলাম, খালিশপুর থানা আমির মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, দৌলতপুর থানা আমির মাওলানা মুশাররফ আনসারী, আড়ংঘাটা থানা আমির মাওলানা নিয়াজ আনসারী, লবণচরা থানা আমির মো. মোজাফ্ফর হোসেন, হরিণটানা থানা আমির মাওলানা আব্দুল গফুর প্রমুখ।

  • বিয়ের পরই প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন নববধূ, স্বামী বললেন বেঁচে গেছি

    বিয়ের পরই প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন নববধূ, স্বামী বললেন বেঁচে গেছি

    গত ১৭ মে সুনীল নামের একটি ছেলেকে বিয়ে করেন খুশবু নামের এক তরুণী। পরের দিন শ্বশুরবাড়িতে যান এবং সেখানে নয় দিন থাকেন তিনি। এরপর রীতি মেনে অষ্টমঙ্গলায় বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন। সেখান থেকেই খুশবু নিজের প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান।

    এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাদাউনে। স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার পর স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সুনীল। পুলিশ যখন তাকে খুঁজছিল, তখন গত সোমবার হাজির হন খুশবু। তিনি স্বীকার করেন যে তিনি তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

    থানার ভিতরে স্বামী সুনীলের সামনেই খুশবু বলেন, ‘এখন আমি আমার প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে চাই।’ আর আশ্চর্যজনকভাবে খুশবুর এই স্ত্রীর ইচ্ছা মেনে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন থানা। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ভালই হয়েছে, আমি আরও এক রাজা রঘুবংশী হতে হতে রক্ষা পেলাম!

    থানার সামনে দাঁড়িয়ে সুনীল বলেন, সে (খুশবু) বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার পর, আমি তাকে আমাদের মধুচন্দ্রিমার জন্য নৈনিতালে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু, সে যদি তার প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে চায়, আমিও খুশি।

    বিজ্ঞাপন
    ‘ভালই হয়েছে, আমি আরেকজন রাজা রঘুবংশী হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছি! এখন আমরা তিনজনই খুশি। আমার স্ত্রী এবং তার প্রেমিকের ভালোবাসা মান্যতা পেল এবং আমার জীবন ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পেল।’

    থানায় দায়িত্বরত হরেন্দ্র সিং বলেন, কনে তার স্বামীর সঙ্গে থাকতে রাজি নন। তিনি তার প্রেমিকের সঙ্গে সংসার করতে চাইছেন। উভয় পরিবারের মধ্যে পারস্পরিক সম্মতিতে, বিনিময় করা জিনিসপত্র ফেরৎ দেওয়া হয়েছিল। সবকিছু আনুষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। কনে তার প্রেমিকের সঙ্গে থানা ছেড়ে চলে গিয়েছে। বরের পরিবার বাড়ি ফিরেছে।

     

  • টেস্ট মর্যাদার ২৫ বছর পূর্তিতে যে আয়োজন করেছে বিসিবি

    টেস্ট মর্যাদার ২৫ বছর পূর্তিতে যে আয়োজন করেছে বিসিবি

    টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম। কিছুদিন আগে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন। এখন তার সামনেই দেশের টেস্ট ক্রিকেটের বড় এক উপলক্ষ —বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদাপ্রাপ্তির রজতজয়ন্তী। ২০০০ সালের ২৬ জুন আইসিসি থেকে টেস্ট খেলার চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছিল বাংলাদেশ।

    গেল মাসে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর এবার ২৫ বছর পূর্তি উদযাপনের কথা ভেবেছে ক্রিকেট বোর্ড। সেই উদযাপনের বিস্তারিত জানাল বিসিবি-

    বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছে যে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কর্তৃক বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পূর্ণাঙ্গ টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির গৌরবময় ২৫ বছর পূর্তি উদযাপিত হতে যাচ্ছে। এই ঐতিহাসিক মাইলফলক স্মরণে, বিসিবি দেশজুড়ে বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে অনূর্ধ্ব-১২ সিক্স-এ-সাইড ক্রিকেট প্রতিযোগিতা এবং আনন্দ আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

    আগামী ২১ জুন ২০২৫ থেকে ২৮ জুন ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত এই বিশেষ আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি, প্রসার এবং সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে অনাবিল আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়াই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।

    প্রতিযোগিতা এবং আনন্দ আয়োজনের স্থান ও তারিখ নিম্নরূপ:

    তারিখ ২১ জুন ২০২৫

    খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়াম, খুলনা
    সকাল ৯:০০ টা থেকে বিকাল ০৪:০০ টা।

    ২২ জুন, ২০২৫

    রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়াম, রাজশাহী

    ২৩ জুন, ২০২৫

    সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সিলেট

    ২৪ জুন, ২০২৫

    চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম

    ২৫ জুন, ২০২৫

    রিয়া গোপ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স, ধানমন্ডি, ঢাকা

    ২৮ জুন, ২০২৫

    রংপুর ক্রিকেট গার্ডেন, রংপুর

    জীবনানন্দ দাশ স্টেডিয়াম, বরিশাল

    বিশেষ কার্যক্রমসমূহ:

    প্রতিটি ভেন্যুতে সিক্স-এ-সাইড ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ছাড়াও অংশগ্রহণকারী ও দর্শকদের জন্য থাকবে বিভিন্ন আকর্ষণীয় কার্যক্রম:

    প্যারেন্টাল/ফ্রি ফর অল কোচিং সেন্টার: একজন বিভাগীয় কোচ অভিভাবকদের প্রাথমিক ক্রিকেট কৌশল এবং খেলার মূল ধারণা সম্পর্কে অবহিত করবেন।
    পেসার হান্ট/মেজার ইওর পেস: স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ডধারী প্রতিভা অন্বেষণে সহায়তা করবে।
    কমেন্ট্রি বুথ: টেস্ট ক্রিকেটের ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলোর ভিডিও প্রদর্শিত হবে এবং দর্শক/শিক্ষার্থীরা সেসব দৃশ্যের উপর ধারাভাষ্য দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
    আর্ট কম্পিটিশন: বিভাগীয় শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় টেস্ট ক্রিকেট বিষয়ক ছবি আঁকার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।
    হিট দ্য স্টাম্প: একটি স্টাম্পে বল ছুঁড়ে আঘাত করার মজাদার চ্যালেঞ্জ থাকবে, যা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
    “গুড লাক” উইশ বোর্ড: দর্শকরা টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে তাদের বিশেষ বার্তা বা শুভকামনা একটি বোর্ডে লিখে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
    বিসিবি বিশ্বাস করে, এই আয়োজন দেশের ভবিষ্যৎ ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করবে এবং ক্রিকেটের প্রতি তাদের ভালোবাসা আরও গভীর করবে।

  • জবিসাসের দুই দশকে পদার্পণ: বর্ণাঢ্য র‌্যিালি ও উৎসবমুখর আয়োজন

    জবিসাসের দুই দশকে পদার্পণ: বর্ণাঢ্য র‌্যিালি ও উৎসবমুখর আয়োজন

     

    জবি প্রতিনিধি:

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) দুই দশকে পদার্পনে বর্ণ্যাঢ্য র‍্যালি, কেক কাটা এবং ফল উৎসবের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।

    আজ শুক্রবার (২০ জুন) সকাল ১১টায় ক্যাম্পাসে উপাচার্য ভবনের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালিটি শুরু হয়ে মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে কেক কাটার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন শুরু হয়।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। এছাড়া জবিসাসের সাবেক সদস্যদের অংশগ্রহণে মিলনমেলা ও ফল উৎসবের আয়োজন করা হয়।

    জবিসাসের এই মাইলফলক অর্জনের প্রশংসা করে কোষাধ্যক্ষ বলেন, “জবিসাস গত দুই দশকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাদের এই অবদান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশাবাদী।”

    জবিসাসের বর্তমান সভাপতি ইমরান হুসাইন বলেন, “দুই দশকের এই যাত্রা আমাদের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। আমরা সত্য ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার প্রতি আমাদের অঙ্গীকার অব্যাহত রাখব।”

    এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড মো তাজাম্মুল হক, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড মো. মঞ্জুর মোর্শেদ ভুঁইয়া।

    উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ২০ জুন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সাংবাদিকদের একটি সংগঠন।

  • আমি নিরপেক্ষ, আপনারাও আমার পছন্দের মানুষ―জামায়াত আমিরকে প্রধান উপদেষ্টা

    আমি নিরপেক্ষ, আপনারাও আমার পছন্দের মানুষ―জামায়াত আমিরকে প্রধান উপদেষ্টা

     

    জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, একটি দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে একটি রাষ্ট্রের প্রধানের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক, প্রেসব্রিফিং এবং স্টেটমেন- এটা নজিরবিহীন। এটি সমীচীন হয়নি, এটা হতে পারে না। প্রধান উপদেষ্টা সব দলের সঙ্গে বসে জয়েন করতে পারতেন। এখানে আমাদের আপত্তি ছিল এবং সেটাকে আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে স্টেটমেন্ট দিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছি এবং দ্বিতীয় ধাপের যে আলোচনার কথা ছিল সেটা আমরা বয়কট করেছি।

    শুক্রবার (২০ জুন) দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ হলরুমে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশ শেষে সাংবাদিদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।

    জামায়াতের নায়েবে আমির আরো বলেন, প্রধান উপদেষ্টা টেলিফোনে আমিরে জামায়াতের সঙ্গে কথা বলেছেন, তিনি আমিরে জামায়াতকে আশ্বস্ত করেছেন যে আমরা বা আমি কোনোভাবে কোনো দলের প্রতি অনুরাগী নেই। প্রধান উপদেষ্টা জামায়াত আমিরকে বলেছেন, ‘আমি পরিপূর্ণ একজন নিরপেক্ষ মানুষ, আপনারাও আমাদের পছন্দের মানুষ, আমাকে সময় দিন, আমি প্রমাণ করব যে আমি নিরপেক্ষ এবং একটি সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচনের জন্য যা করা দরকার আমি সেটাই করব। আপনারা আমাকে একটু সুযোগ দিন।’

    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ডা. তাহের বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়েছে। সেখানে জামায়াত কিছু কিছু বিষয়ে একমত হয়েছে আবার কিছু কিছু বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেছে। সেগুলোকেও বুঝিয়ে যাতে ঐকমত্য করা যায় সে প্রচেষ্টা চলছে।

    তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বর্তমান সময়ে যে নিয়ম রয়েছে তা হচ্ছে সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে এটা নির্বাচিত হবে, আমরা বলেছি, শুধু পার্লামেন্ট সদস্যদের মাধ্যমে নির্বাচিত হলে যারা মেজরিটি হয়ে সরকার গঠন করবে প্রেসিডেন্টরা তাদেরই হয়ে কাজ করবেন, কারণ তাদের ভোট বেশি।

    এ জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের যে সিস্টেম সেটাকে আমরা আরো বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করেছি। যেমন সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ সদস্য, পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে একটা ইলেক্টোরাল সিস্টেমের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবে। তাতে যে সুবিধা হবে, একজন উপযুক্ত, জাতীয়ভাবে সম্মানিত, দল কানা নহে এমন ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ পাবেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এই নীতিতে বিশ্বাস করে। আরেকটি বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি, যেকোনো প্রধানমন্ত্রী জীবনে দুইবারের বেশি একাধারে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না।

    এ বিষয়ে বিএনপি ছাড়া অধিকাংশ দল একমত হয়েছেন। কিন্তু এটা এখনো ফাইনাল হয়নি, আগামী রবিবার এই প্রস্তাবের মধ্য দিয়েই আবার আলোচনা শুরুর কথা রয়েছে।
    ডা. তাহের আরো বলেন, আমরা একটি নতুন প্রস্তাব এনেছি তা হলো, সংবিধান সংশোধন, অনাস্থা বিল এবং বাজেট। এই তিন প্রস্তাবের বাইরে আর যেকোনো বিষয়ে একই দলের এমপি সে দলের মতের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন। এ ব্যাপারেও আমরা সবাই একমত হতে পেরেছি।

    তিনি আরো বলেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠক হয়েছে, আমরা বলেছি এই বৈঠকটি অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়। কারণ প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ ও সব দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে আমরা চেয়েছিলাম ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। সেই হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা এপ্রিলেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন, আমরা বলেছি যদি ফেব্রুয়ারিতে হয়, তাহলেও আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কারণ এটা আমাদের পূর্বের ঘোষিত তারিখের মধ্যেই পড়েছে।

    তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী প্রথম থেকেই বলে আসছে, আগে স্থানীয় নির্বাচন, আমরা মনে করি ডিসেম্বরে স্থানীয় নির্বাচন হতে পারে এরপর যে কয়েক মাস থাকবে, সে সময়ে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে। জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব বাড়ছে না। তারা তাদের দলীয় স্ট্যান্ডে কথা বলছে, আমরা আমাদের দলীয় স্ট্যান্ডে কথা বলছি। সুতরাং বিএনপিসহ সব দলের সঙ্গে আমাদের ভালো সুসম্পর্ক রয়েছে।

  • পাওনা টাকা না পেয়ে গাছের সঙ্গে শ্বশুরকে বেঁধে নির্যাতন

    পাওনা টাকা না পেয়ে গাছের সঙ্গে শ্বশুরকে বেঁধে নির্যাতন

    রাজবাড়ী পাংশায় পাওনা টাকা না পেয়ে শ্বশুরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে জামাতার বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শ্বশুর সাইদুল প্রামানিককে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জামাতা মো. দাউদ মন্ডলসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

    বৃহস্প‌তিবার (১৯ জুন) সকালে উপজেলার যশাই ইউনিয়নের সমসপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃত ব্যক্তিরা হ‌লেন- মো. মিজান মন্ডল ও তার দুই ছেলে মো. দাউদ মন্ডল ও মো. নাজমুল মন্ডল।

    স্থানীয়‌রা জানান, শ্বশুর ও জামাতা দাউদ মন্ডলের বা‌ড়ি একই গ্রা‌মে। জমি লিজ দেওয়ার কথা বলে জামাতা দাউদ মন্ডলের কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়েছিলেন শ্বশুর সাইদুল প্রামানিক। প‌রে জমি দিতে না পারায় সাইদুল প্রামা‌নি‌কের কা‌ছে টাকা ফেরত চান দাউদ মন্ডল। এক মাসের সময় নেন শ্বশুর সাইদুল প্রামা‌নি‌ক। কিন্তু ছয় বছ‌রেও টাকা ফেরত দেননি তি‌নি। এ নি‌য়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বিচার সালিস করেও সুরাহা হয়নি। আজ সকা‌লে সাইদুল প্রামানিককে ধরে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন জামাতা দাউদ মন্ডল।

    পাংশা ম‌ডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহউদ্দিন ব‌লেন, খবর পে‌য়ে পু‌লিশ সাইদুল প্রামানিককে উদ্ধার ক‌রে‌ছে। সেই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জ‌ড়িত থাকার অভিযোগে জামাতাসহ তিনজনকে আটক করেছে পু‌লিশ। এ বিষ‌য়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়া‌ধীন রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

  • মই দিয়ে উঠতে হয় ৬ কোটি টাকার সেতুতে

    মই দিয়ে উঠতে হয় ৬ কোটি টাকার সেতুতে

     

    বরগুনার আমতলীর দুটি ইউনিয়নের মধ্যবর্তী গুলিশাখালী খালের ওপর নির্মিত সেতুর এক পাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি কাজে আসছে না। দুর্ভোগও শেষ হচ্ছে না গুলিশাখালী ও কুকুয়া ইউনিয়নের ৩৫ হাজার মানুষের। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বয়স্ক নারী, পুরুষ ও শিক্ষার্থীদের। বাঁশ ও গাছ দিয়ে তৈরি মই দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি পারাপার হতে হচ্ছে জনসাধারণের।

    আমতলী উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস সূত্রে জানা যায়, সেতুর উচ্চতা অনুযায়ী সংযোগ সড়ক করতে হলে একটি সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। তাই সড়কটি ঠিক রাখার জন্য আন্ডারপাস করা হবে। এজন্য খরচও বাড়বে। নতুন করে নকশা ও বাজেট করে প্রকল্প পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। এখনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।

    এ বিষয় আমতলী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস মিয়া জানান, সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রক্রিয়া চলমান। প্রকল্প পাস হলেই দরপত্র আহ্বায়ন করে দ্রুত সংযোগ সড়কের কাজ ধরা হবে।

    সরেজমিন দেখা গেছে, সেতুটির পশ্চিম পাড়ে বাঁশ ও গাছের তৈরি মই বানিয়ে কোনো রকমে যাতায়াতের উপযোগী করা হয়েছে। এই মই বেয়ে বয়স্ক ও শিশুরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। বৃষ্টিতে তাদের দুর্ভোগের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

    মই দিয়ে উঠতে হয় ৬ কোটি টাকার সেতুতে
    আমড়াগাছিয়া গ্রামের মনিরা বেগম বলেন, আমতলী বাজারে গেছিলাম। ব্রিজে উঠতে আর নামতে হাত-পা কাঁপে।

    বাইনবুনিয়া গ্রামের আল আমিন জানান, ‘আমড়াগাছিয়া বাজারে কাম আছিল। হেই লইগ্যা এইহান দিয়া আইছি। ব্রিজে রাস্তা নাই; উঠতে শ্বাস গরম হইয়া যায়’।

    উপজেলার গুলিশাখালী, কুকুয়া ও চাওড়া ইউনিয়নের সংযোগস্থল আমড়াগাছিয়া বাজার। এ বাজারের পশ্চিম পাশের গুলিশাখালী খালের ওপর ৬৬ মিটার দৈর্ঘ্য ৬.৭৭ মিটার প্রস্থের গার্ডার সেতু নির্মাণের জন্য ২০২৩ সালে দরপত্র আহ্বান করা হয়। ৬ কোটি ২২ লাখ ৫৮ হাজার ৩২৩ টাকার কাজটি পায় বরিশালের মেসার্স কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ত্রিপুরা জেভি নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ১৯ মে কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৪ সালের জুন মাসে মূল সেতুর কাজ শেষ হলেও বিপত্তি বাধে সংযোগ সড়ক নির্মাণ নিয়ে। সেতুর পশ্চিম পাশের ঢালের ৫ ফুটের মধ্যে রয়েছে পূর্ব খেকুয়ানী গুচ্ছগ্রামের চলাচলের কার্পেটিং সড়ক। সেতুর নকশা ও উচ্চতা অনুযায়ী সংযোগ সড়ক নির্মাণ করলে সড়কটি বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি।

    এই সেতু পার হয়ে গুলিশাখালী ইউনিয়নের পূর্ব খেকুয়ানী, গুলিশাখালী, ডালাচারা, বাইবুনিয়া, কলাগাছিয়া গ্রামের শত শত মানুষ আমতলী সদর, বরিশাল, ঢাকাসহ সারাদেশে চলাচল করে। চাওড়া ও কুকুয়া ইউনিয়নের মানুষও এই সেতু পার হয়ে গুলিশাখালী ইউনিয়নে যাতায়াত করেন।

    ঠিকাদার মো. কাওছার মিয়া বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই মূল সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করেছি। সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য আলাদা দরপত্র হবে। যারা কাজ পাবে তারা করবে। তিনি আরও বলেন, নকশা বদল হওয়ায় কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।

  • সিলেট মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটিতে চমক: ১১ সদস্যই পুরুষ!

    সিলেট মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটিতে চমক: ১১ সদস্যই পুরুষ!

     

    সিলেট বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া সংস্থার জন্য গঠিত ১১ সদস্যের নতুন এডহক কমিটি নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।
    কারণ, ‘মহিলা’ ক্রীড়া সংস্থার কমিটিতে আশ্চর্যজনকভাবে কোনো নারী সদস্যেরই স্থান হয়নি!জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন)। তবে এতে থাকা ১১ জন সদস্যই পুরুষ – যা সামাজিক ও ক্রীড়া মহলে বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মোহাম্মদ রেজা উন-নবী (পদাধিকার বলে)। সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে ক্রীড়াঙ্গনের বেশ কয়েকজন পরিচিত মুখকে। এদের মধ্যে রয়েছেন- ক্রীড়া সংগঠক শাহজাহান আলী, সাবেক ফুটবলার ও সংগঠক ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ, সাবেক ক্রিকেটার এনামুল হক জুনিয়র, ক্রিকেট কোচ রাহাত শামস, ক্রীড়া সংগঠক মো. মোকাম্মেল হক, সাবেক ফুটবলার আবিবুল বারি আয়হান, ছাত্র প্রতিনিধি নাইম শেহজাদ, ক্রীড়া সাংবাদিক এনামুল হক জুবের।

    এছাড়া, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সিলেটের উপ-পরিচালক পদাধিকার বলে কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে মো. ফখরুজ্জামান দায়িত্ব পালন করবেন। এদিকে, একজন নারীও না রাখায় নারী ক্রীড়া উন্নয়নের প্রশ্নে এই কমিটির যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। নারীদের প্রতিনিধিত্বহীন এই কমিটি কিভাবে মহিলা ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়ন সাধন করবে – এমন উদ্বেগ জানাচ্ছেন ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট ও সমাজকর্মীরা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সচেতন ক্রীড়ানুরাগীরা নারীদের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়ে বলছেন, নারীদের বিষয় নারীরাই সবচেয়ে ভালো বোঝেন। এমন সংস্থায় নারীদের উপেক্ষা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অগ্রহণযোগ্য।