শুক্রবার বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জামায়াতে ইসলামীর বিভাগীয় জনসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ‘জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের বিচার’, ‘রাষ্ট্রীয় সংস্কার’, ‘গণহত্যার দায়ীদের বিচারের দাবি’ এবং ‘সংস্কারপূর্ব নির্বাচন’সহ চার দফা দাবিতে এই জনসভার আয়োজন করে জামায়াতের রংপুর মহানগর ও জেলা শাখা।
আজহারুল ইসলাম বলেন, “আমি কারাগারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অপেক্ষায় ছিলাম। আল্লাহর রহমতেই আজ আমি লক্ষ জনতার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছি। রংপুরের জনগণ সাক্ষী, আমি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। যারা আমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে, তারা পরবর্তীতে স্বীকার করেছে—জোর করে তাদের দিয়ে সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্ট না হলে আজকের এই জনসভায় নয়, আপনারা আমার জানাজায় অংশ নিতেন। শহীদ আবু সাঈদের আত্মদানই ছিল আমার মুক্তির পথের প্রথম সোপান। তার আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না, আমি তার হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”
দীর্ঘ ১৭ বছর পর রংপুরে আয়োজিত এই বৃহৎ জনসভায় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নেতা মমতাজ উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান এবং শহীদ আবু সাঈদের পরিবার। সভাপতিত্ব করেন রংপুর মহানগর জামায়াতের আমির এটিএম আজম খান।
সকাল থেকেই রংপুর শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রিকশা, অটোরিকশা, ভ্যান, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে নেতাকর্মীরা জনসভাস্থলে আসতে থাকেন। জিলা স্কুল মাঠসহ আশপাশের এলাকা, ডিসির মোড়, কাচারী বাজার, আরডিআরএস মোড় পর্যন্ত নেতাকর্মীদের ভিড় দেখা যায়। জুমার নামাজ মাঠে দুটি জামাতে আদায় করেন হাজারো মুসল্লি।
জানানো হয়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনে জামায়াত প্রার্থী দেবে এবং জনসভা থেকে সেই প্রার্থীদের পরিচয়ও ঘোষণা করা হয়।
Leave a Reply