Blog

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটির পদ পদবী ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রচারণা

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটির পদ পদবী ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রচারণা

     

    মীর রাফি, জেলা প্রতিনিধি,নাটোর

    নাটোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটির পদ পদবী ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রচারণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পদ ধারি নেতারা। নিজের সুবিধার্থে, মানুষকে বিভ্রান্ত করে বৈষম্যবিরোধীর পদ পদবী ব্যবহার করে নাটোর জেলা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ শিশির, সদস্য সচিব রাব্বি সামিউল ইসলাম সহ আরো গুরুত্বপূর্ণ অনেকেই এনসিপির কার্যক্রমের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত , পাশাপাশি তাদের গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের পোগ্ৰামগুলোতেও দেখা গেছে । গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের গত ০৫ মে ২০২৫ তারিখ একটি পোগ্ৰাম ও পরিচালনা করেছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব রাব্বি সামিউল ইসলাম।

    নাটোর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির আহ্বায়ক, সদস্য সচিবসহ আরো অনেকেই পদ পদবী ব্যবহার করে রাজনৈতিক(এনসিপি’র) প্রচারণায় নেমেছে ! এতে বিভ্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

  • গণসংযোগে বাধা, হামলায় আহত ৫ জামায়াত নেতাকর্মী

    গণসংযোগে বাধা, হামলায় আহত ৫ জামায়াত নেতাকর্মী

    নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী ইলিয়াস মোল্লার গণসংযোগ চলাকালে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (তারিখ দিতে পারেন) দুপুরে আড়াইহাজার উপজেলার দুপতারা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গণসংযোগ চলাকালে সন্ত্রাসী শাহজাহান শিকারী, শাহপরান শিকারী, শাহজালাল শিকারী, আমীর হোসেন, ঈমন, তরিকুল ও আবুল হোসেনের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ দল ইলিয়াস মোল্লার কর্মসূচিতে হামলা চালায়। এসময় বাঁশ, লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলাকারীরা জামায়াত কর্মীদের ওপর চড়াও হয়। এতে ওয়ার্ড সভাপতি আবুল হোসেনসহ অন্তত পাঁচজন কর্মী গুরুতর আহত হন। আহতদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়, তবে একজনকে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর মুহাম্মদ মমিনুল হক সরকার এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান। এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা বলেন, “জনাব ইলিয়াস মোল্লা একজন দায়িত্বশীল ও জনবান্ধব নেতা। তিনি জামায়াতে ইসলামীর জেলা কর্ম পরিষদের সদস্য এবং দুপতারা ইউনিয়নের সাবেক স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়। তার গণসংযোগে সন্ত্রাসী হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং গণতন্ত্রবিরোধী আচরণ।”

    তারা আরও বলেন, “০৫ আগস্টে ফ্যাসিস্ট অপশক্তির বিদায়ের পর দেশের রাজনীতিতে সহনশীলতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে প্রত্যাশা ছিল, তা আজকের ঘটনায় ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের পরও এমন হামলা প্রমাণ করে, দেশে এখনো রাজনৈতিক সহিংসতার ধারা বন্ধ হয়নি।”

    নেতৃবৃন্দ হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একইসাথে, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সেজন্য প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

     

    আবিদ/নগরনিউজ২৪

  • টিউলিপকে দেশে ফিরে আদালতের মুখোমুখি হতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

    টিউলিপকে দেশে ফিরে আদালতের মুখোমুখি হতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

     

    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে বাংলাদেশে ফিরে এসে দুর্নীতির অভিযোগে আদালতে হাজির হয়ে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

    দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আনীত অভিযোগ নিয়ে আলোচনার জন্য টিউলিপের বৈঠকের অনুরোধও তিনি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

    বর্তমানে যুক্তরাজ্যে সরকারি সফরে থাকা ইউনূস আইটিভি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, যেকোনো ধরনের অভিযোগ রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে নয়, আইনানুগভাবে আদালতেই মোকাবিলা করা উচিত।

    তিনি বলেন, ‘যদি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তাহলে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য তার আদালতে উপস্থিত হওয়া উচিত।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আমি তার সঙ্গে কথা বলিনি। আমি এটিকে একটি আইনি প্রক্রিয়া হিসেবে নিয়েছি এবং এটি আইনিভাবেই হওয়া উচিত। এখানে আমার জড়িত হওয়া উচিত নয়।’

    দুদক অভিযোগ করেছে, ‘টিউলিপ তার খালা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে অবৈধভাবে জমি গ্রহণ করেছেন। গত বছর ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারান।

    এ অভিযোগের বিষয়টি যুক্তরাজ্যে এর আগে ট্রেজারি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী টিউলিপ সরাসরি অস্বীকার করে বলেন, এটি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার।’

    প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাজ্য সফরের আগে তাকে পাঠানো এক চিঠিতে টিউলিপ তার সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন, যাতে তিনি ‘ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিশনের দ্বারা সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে’ সহায়তা করতে পারেন।

     

    আবিদ/নগরনিউজ২৪

  • পাচারের টাকা উদ্ধারে ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে

    পাচারের টাকা উদ্ধারে ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে

     

    যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া দেশের অর্থ উদ্ধার করতে অন্তর্বর্তী সরকার ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ব্রিটিশ সরকার এই প্রয়াসে ‘অত্যন্ত সহায়ক’ ভূমিকা পালন করছে।

    ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এ বিষয়ে তারা যে দ্রুততা দেখিয়েছেন, আমি তার জন্য অনেক প্রশংসা করি।’

    বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক দুর্নীতি প্রতিরোধ সমন্বয় কেন্দ্র (আইএসিসিসি) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও যুক্তরাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে সহায়তার সুযোগ খুঁজছে। বিশেষ করে হাসিনা সরকারের আমলের দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করতে।

    বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষের ধারণা, হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার (১৭৪ বিলিয়ন পাউন্ড) দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, এসব অর্থের বেশিরভাগই যুক্তরাজ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছে অথবা খরচ করা হয়েছে।

    লন্ডনে আইএসিসিসিকে জাতীয় অপরাধ সংস্থা (এনসিএ) আমন্ত্রণ জানায়। এনসিএ’র এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রকৃতি সম্পর্কে নিয়মিত মন্তব্য করি না। যদি কোনো তদন্ত শুরু হয়ে থাকে বা কোনো অংশীদারের তদন্তে সহায়তা দেওয়া হয়—তা নিশ্চিত করি না।’

    অধ্যাপক ইউনূস সম্প্রতি বাকিংহাম প্যালেসে কিং চার্লসের সাথে সাক্ষাৎ করেন। দেশটির পার্লামেন্টে বাণিজ্য সচিব জনাথন রেনল্ডসের সাথেও বৈঠক করেন। Traditional Bangladeshi cuisine catering

    রেনল্ডস এক টুইট বার্তায় জানান, তারা ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টির ও সমৃদ্ধির জন্য তাদের পারস্পরিক যৌথ আকাঙ্ক্ষা’ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

    অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সাথে বৈঠক করার ব্যবস্থা করতে পারেননি। টিউলিপ সিদ্দিকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং একই নির্বাচনী এলাকার প্রতিবেশী প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

    তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘আমি জানি না আমার হতাশ হওয়া উচিৎ, নাকি দুঃখিত হওয়া উচিৎ। এটি একটি হারানো সুযোগ।’

    স্টারমারের সাথে বৈঠক না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো কোনো ব্যাখ্যা পাইনি। সম্ভবত তিনি অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত ছিলেন।’

    চার দিনের সফর শেষে অধ্যাপক ইউনূস শনিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছান। সফরকালে একাধিক বৈঠক ঢাকা-লন্ডন সম্পর্কের আরো বিস্তৃত ও গভীরতাকে তুলে ধরে।

    সূত্র : ইউএনবি

     

    আবিদ/নগরনিউজ২৪

  • ইরানের রাজধানী তেহরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

     

    ইরানের রাজধানী তেহরানের উত্তর-পূর্ব দিকে বিশাল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা নূর নিউজের বরাতে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল-জাজিরা।

    দুটি অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা এক্সিয়স জানিয়েছে, ইরানে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী হামলা চালিয়েছে। এ কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ইসরায়েল ইরানে একটি হামলা চালিয়েছে। তবে ওয়াশিংটন এই হামলায় সহায়তা করেনি এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান তারা।

    তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এখনও হামলার বিষয়টি প্রকাশ্যে নিশ্চিত করেনি।

    বিস্তারিত আসছে…

  • সমু চৌধুরীকে মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হয়েছে: পুলিশ

    সমু চৌধুরীকে মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হয়েছে: পুলিশ

    নব্বইয়ের দশকে টেলিভিশন নাটকের পরিচিত মুখ সমু চৌধুরীকে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে একটি মাজারের গাব গাছের নিচে গামছা পরে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে।বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার পাগলা থানাধীন মুখী শাহ্ মিসকিনের মাজারের ওই গাছের নিচে তাকে পাওয়া যায়।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সমু চৌধুরী মাজারে আসেন। তিনি একা একা শুয়ে বসে থাকতেন। বিকেলে মাজারের পাশে গাব গাছের নিচে গামছা পরা অবস্থায় ঘুমিয়ে থাকার সময় তাকে কয়েকজন চিনতে পারেন। এসময় তাকে ডাক দিলে উঠে বসেন। তার আচরণ দেখে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় আছেন বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।

    এ বিষয়ে পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম জাগো নিউজকে বলেন, সমু চৌধুরী এখানে অভিনয় করতে আসেননি। তিনি গতকাল বুধবার একা একা চলে এসেছেন। আচার আচরণে সমু চৌধুরীকে মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, সমু চৌধুরী কীভাবে এখানে এলেন, কেন এলেন, এ নিয়ে কিছু জানা যায়নি। এখনো তিনি ওই গাছের নিচে অবস্থান করছেন। কোথাও যেতে চাচ্ছেন না। সমু চৌধুরীর খোঁজ পেয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের একজন অভিনেতা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তিনিসহ কয়েকজন এসে সমু চৌধুরীকে নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া তার পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।

  • নিবন্ধনের বিজয়ে প্রশ্ন রাখলেন শিবির নেতা: “আমার ভাইয়ের রক্তের মূল্য কে দেবে?

    নিবন্ধনের বিজয়ে প্রশ্ন রাখলেন শিবির নেতা: “আমার ভাইয়ের রক্তের মূল্য কে দেবে?

     

    ঢাকা, ১ জুন ২০২৫: দীর্ঘ এক যুগের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফিরে পেয়েছে তাদের বহু আকাঙ্ক্ষিত দলীয় নিবন্ধন। এই প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে তাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে সক্রিয় হওয়ার পথ প্রশস্ত করেছে, এনেছে এক ধরনের স্বস্তি। কিন্তু এই বিজয়ের দিনেও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ছাত্রশিবির নেতা শহীদ খলিলুর রহমান মল্লিকের স্মরণে তার স্বজনদের হৃদয়ে বাজছে এক বিষাদের সুর, যেখানে আনন্দের রেশ নয়, বরং দীর্ঘশ্বাসই প্রধান।
    সেদিনের রক্তাক্ত স্মৃতি ও এক অমলিন আত্মদান:
    ২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট। সেদিন হাইকোর্টের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের প্রতিবাদে দেশব্যাপী ডাকা হয়েছিল হরতাল। সেই হরতালের প্রথম দিনেই রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর রাজপথে পুলিশের গুলিতে লুটিয়ে পড়েছিল এক সম্ভাবনাময় প্রাণ— খলিলুর রহমান মল্লিক। পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা মল্লিকপাড়া গ্রামের আব্দুল বাতেন মল্লিক ও জামেলা বেগমের এই মেধাবী সন্তান তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার ফাজিল প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার এই অকালমৃত্যু সেদিন জামায়াত-শিবিরের আন্দোলনে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছিল, জন্ম দিয়েছিল তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের।
    ছাত্রশিবির নেতার হৃদয়ের আর্তি:
    আজ যখন দলীয় নিবন্ধন ফিরে আসার খবরে জামায়াত নেতাকর্মীরা আনন্দিত, তখনো শহীদ খলিলুর রহমান মল্লিকের জন্য বুকের গভীরে অব্যক্ত বেদনা বয়ে বেড়াচ্ছেন তার পরিবার ও সহযোদ্ধারা। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ দেলওয়ার হোসেন তার ফেসবুক পোস্টে সেই নীরব কান্নাকেই যেন ভাষা দিয়েছেন। তার মর্মস্পর্শী উক্তি, “নিবন্ধন ফিরেছে, কিন্তু শহীদ ভাইয়ের জীবন ফিরলো না…” যেন এক যুগের জমাট বাঁধা কষ্টের প্রতিধ্বনি। তিনি আরও প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, “আজ এই বিজয়ের দিনে প্রশ্ন রয়ে গেল—আমার ভাইয়ের রক্তের মূল্য কে দেবে? তার পরিবারের খালি চোখে তাকিয়ে থাকা সন্তানটি কি ফিরে পাবে মায়ের স্পর্শ?” এই প্রশ্নগুলো কেবল শহীদ খলিলুর রহমান মল্লিকের জন্যই নয়, বরং এমনই অসংখ্য রাজনৈতিক আত্মত্যাগের প্রেক্ষাপটে উচ্চারিত এক শাশ্বত আর্তি।
    প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির দোদুল্যমানতা:
    জামায়াত নেতৃবৃন্দ এই নিবন্ধন প্রাপ্তিকে ন্যায়বিচারের জয় হিসেবে দেখছেন। তাদের বিশ্বাস, যে নিবন্ধন বাতিলের প্রতিবাদে খলিলুর রহমান মল্লিকের মতো অসংখ্য কর্মী শাহাদাত বরণ করেছেন, সেই আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই আজ এই বিজয় এসেছে। তবে, খলিলুর রহমান মল্লিকের পরিবারের কাছে এই রাজনৈতিক প্রাপ্তি কেবলই একটি পরিসংখ্যান মাত্র। কোনো স্বীকৃতিই তাদের বুকের শূন্যতা পূরণ করতে পারবে না। তারা আজও প্রতিটি মুহূর্তে অনুভব করেন তাদের প্রিয় সন্তানের অনুপস্থিতি, যা কোনো বিনিময় মূল্যেই পূরণ হওয়ার নয়।
    দলীয় নিবন্ধন ফিরে আসার মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী নতুন উদ্যমে তাদের রাজনৈতিক পথচলা শুরু করতে পারে। কিন্তু তাদের এই পথচলার প্রতিটি ধাপে খলিলুর রহমান মল্লিকসহ সকল শহীদের আত্মত্যাগ এক উজ্জ্বল স্মারক হয়ে থাকবে। তাদের স্মৃতিই হয়তো দলটির ভবিষ্যতের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে, যেখানে রাজনৈতিক প্রাপ্তির পাশাপাশি আত্মত্যাগের মহিমাও সমানভাবে উচ্চারিত হবে।

  • বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম সম্প্রচারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত

    বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম সম্প্রচারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত

    প্রতিবেদক: আরমান বিন আজাদ
    ঢাকা, ১ জুন ২০২৫:
    বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক স্থাপিত হতে যাচ্ছে—প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে সংঘটিত রাজনৈতিক হত্যা, দমন-পীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর বিচার নিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এক গুরুত্বপূর্ণ মামলা, যা সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে জনসাধারণের সামনে উন্মোচিত হবে।
    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নির্দেশনায় গঠিত এই বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আসামি হিসেবে নাম উঠে এসেছে খোদ শেখ হাসিনার, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের। এটি শুধু দেশের রাজনীতিতে নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও এক বহুল আলোচিত অধ্যায়ের সূচনা করতে যাচ্ছে।
    এই বিচার কার্যক্রমের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো—এর সরাসরি সম্প্রচার। বিচারিক অনুমতি সাপেক্ষে শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় চ্যানেলেই নয়, অন্যান্য টেলিভিশন ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও এই বিচার সম্প্রচারের সুযোগ থাকবে। এই পদক্ষেপ বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও জনআস্থার দৃঢ় ভিত্তি নির্মাণে এক সাহসী ও সময়োপযোগী প্রয়াস।
    বিশ্ব ইতিহাসে এরকম সরাসরি সম্প্রচারের নজির রয়েছে অন্তত ২১টি দেশের গুরুত্বপূর্ণ মামলার ক্ষেত্রে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়:
    ১. নুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনাল (নাজি যুদ্ধাপরাধের বিচার)
    ২. ইরাকের সাবেক শাসক সাদ্দাম হোসেনের বিচার
    ৩. যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট স্লোবোদান মিলোসেভিচের বিচার
    ৪. উগান্ডার কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী জোসেফ কোনির বিচার
    ৫. রুয়ান্ডার গণহত্যার বিচার
    ৬. রাশিয়ায় বিরোধীদলীয় নেতা আলেক্সেই নাভালনির বিচার
    বিচার ব্যবস্থার জবাবদিহিতা, গতি এবং সাধারণ মানুষের তথ্য-অধিকার নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই উদ্যোগ বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের ক্ষেত্রে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।

  • তিস্তা ব্যারেজে ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে, আশঙ্কা ভয়াবহ বন্যার

    তিস্তা ব্যারেজে ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে, আশঙ্কা ভয়াবহ বন্যার

    📅 প্রকাশিত: ১ জুন ২০২৫
    🖊️ প্রতিবেদক: আরমান বিন আজাদ

    তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হওয়ায় অতিরিক্ত পানির চাপ সামাল দিতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট একযোগে খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা প্রবলভাবে দেখা দিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, নদীর পানি হঠাৎ করে বিপদসীমা অতিক্রম করায় এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।

    পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাত এবং ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে নদীর পানির প্রবাহ বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছে যায়। তাই দ্রুত প্রতিক্রিয়া হিসেবে তিস্তা ব্যারেজের অধিকাংশ গেট খুলে দেওয়া হয়। এতে তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল যেমন কালীগঞ্জ, হাতিবান্ধা, ও আদিতমারী উপজেলায় প্লাবনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা ইতোমধ্যেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। অনেকেই তাঁদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন কর্মকর্তা বলেন:
    “আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ব্যারেজের গেটগুলো খুলে দিয়ে পানির চাপ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।”