Blog

  • শেখ হাসিনা পালানোর ব্রেকিং নিউজ দিয়ে অ্যাওয়ার্ড পেলেন শফিকুল আলম

    শেখ হাসিনা পালানোর ব্রেকিং নিউজ দিয়ে অ্যাওয়ার্ড পেলেন শফিকুল আলম

     

    ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ব্রেকিং নিউজ দেওয়ার সুবাদে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব সাংবাদিক শফিকুল আলম।

    বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি জানিয়েছেন শফিকুল আলম নিজেই।

    ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, এটা আমার জন্য বড় খবর। ‘বাংলাদেশ বিপ্লব’ এবং শেখ হাসিনার দেশত্যাগের ব্রেকিং নিউজ কাভার করার জন্য অনারেবল মেনশন (সম্মানজনক স্বীকৃতি) পেয়েছি।

    পোস্টের সঙ্গে অ্যাওয়ার্ডের একটি ছবি যুক্ত করেন তিনি। ছবিতে দেখা যায়, দ্য সোসাইটি অব পাবলিশারস ইন এশিয়া ২০২৫ (এসওপিএ) অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন তিনি।

    উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় শফিকুল আলম আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপির ব্যুরো প্রধান ছিলেন।

  • রাইদা পরিবহন চালকের হামলায়, কবি নজরুল কলেজ শিক্ষার্থী আহত

    রাইদা পরিবহন চালকের হামলায়, কবি নজরুল কলেজ শিক্ষার্থী আহত

    রাজধানীর জুরাইন এলাকায় রাইদা পরিবহনের একটি বাসে ভাড়া নিয়ে বিরোধের জেরে চালকের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন কবি নজরুল সরকারি কলেজের এক শিক্ষার্থী। ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র জাহিদ হাসান বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে ধোলাইপাড় থেকে হাসনাবাদগামী রাইদা পরিবহনের একটি বাসে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।

    শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান জানান, জুরাইন পর্যন্ত ভাড়া ১০ টাকা হলেও বাসচালক তার কাছে ২০ টাকা দাবি করেন। তিনি ১০ টাকা দিয়ে বাস থেকে নামার চেষ্টা করলে, এক পা রাস্তায় এবং অন্য পা বাসে থাকা অবস্থাতেই চালক হঠাৎ বাস চালিয়ে দেন। এতে তিনি রাস্তায় পড়ে যান। পরে উঠে গিয়ে চালকের কাছে এ নিয়ে জবাব চাইলে চালক উত্তেজিত হয়ে বাসের সামনের ভাঙা কাঁচ দিয়ে তার হাতে আঘাত করেন। এ সময় জাহিদের ডান হাতের রগ কেটে যায় এবং প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়।

    স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা জানান, আহত হাতের রগ জোড়া দিতে অপারেশন প্রয়োজন। চিকিৎসা খরচও বেশ ব্যয়বহুল। বর্তমানে জাহিদের রক্তক্ষরণ বন্ধ ও ক্ষতিগ্রস্ত রগ পুনঃস্থাপনের চিকিৎসা চলছে।

    ঘটনার খবর কলেজ ক্যাম্পাসে পৌঁছালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জাহিদের সহপাঠী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। তারা রাইদা পরিবহন কর্তৃপক্ষকে স্পষ্ট ভাষায় বলছেন, আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় তারা বহন না করলে রাজধানীতে রাইদার কোনো বাস চলতে দেওয়া হবে না।

    শিক্ষার্থীদের ভাষ্য অনুযায়ী, এই ঘটনার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। দোষী চালকের শাস্তি ও রাইদা পরিবহনের দায়িত্বশীল ভূমিকা না থাকলে তারা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।

    ঘটনার বিষয়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। যে পরিবহনের বাসে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে, শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    জাহিদের পরিবার জানিয়েছে, তারা ঘটনার আইনি প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে আপাতত সবচেয়ে জরুরি বিষয় হচ্ছে জাহিদের চিকিৎসার ব্যয় সংগ্রহ, যা তার পরিবার কিংবা সহপাঠীদের পক্ষে বহন করা অত্যন্ত কঠিন।

  • যেভাবে ব্যবহার করবেন ‘গুগল পে’

    যেভাবে ব্যবহার করবেন ‘গুগল পে’

    সম্ভাবনার প্রত্যাশা নিয়ে দেশে চালু হয়েছে “গুগল পে”। মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে প্রযুক্তিগত সেবাটির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ডক্টর আহসান এইচ মনসুর।

    ভিসা ও মাস্টারকার্ডের সহযোগিতায় বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো গুগলের সেবাটি পরিচালনা করবে সিটি ব্যাংক। চলুন, গুগলের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থাটির সুবিধা ও ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-

    গুগল পে কী
    বিশ্ব নন্দিত টেক জায়ান্ট গুগলের স্পর্শবিহীন লেনদেন ব্যবস্থার নাম গুগল পে। লেনদেনে ব্যবহারযোগ্য কার্ডের যাবতীয় তথ্যাদি সংরক্ষণের জন্য গুগলের রয়েছে একটি ডিজিটাল মানিব্যাগ। এটি গুগল ওয়ালেট নামে পরিচিত। এই ওয়ালেটে কার্ড সংযুক্ত করে গুগল পে-এর মাধ্যমে দ্রুত ও নিরাপদ উপায়ে লেনদেন করা যায়। এর জন্য সাথে প্লাস্টিক কার্ড বহনের প্রয়োজন পড়ে না; একটি স্মার্টফোন আর নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগই যথেষ্ট। এভাবে ঘরে বসে কিংবা বাইরে চলাচলে সর্বাবস্থানে যেকোনো সময় সব ধরনের আর্থিক লেনদেন করা সম্ভব।

     

    গুগল পে’র সুবিধাসমূহ

    গুগলের এই পেমেন্ট সিস্টেমে রয়েছে উন্নত এনক্রিপশন প্রযুক্তি। এটি গ্রাহকের তথ্যের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। কোনোরকম ডাটা হ্যাক বা তথ্য চুরির আশঙ্কা নেই।
    নগদ অর্থ বা কার্ড বহনের ক্ষেত্রে প্রায় সময় তা ছিনতাইয়ের ভয় থাকে। এছাড়া অসাবধানতায় হারিয়ে যাওয়ারও ভয় থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনো কাগুজে টাকা বা প্লাস্টিক কার্ড বহনের প্রয়োজন নেই বিধায় সেগুলো হারানোরও ভয় নেই।
    দেশে ও বিদেশে পস বা পিওএস (পয়েন্ট অব সেল) টার্মিনালে অর্থ পরিশোধের জন্য শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ফোন স্পর্শ করলেই হবে। তবে পস টার্মিনালটি অবশ্যই এনএফসি (নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন) সমর্থিত হতে হবে। এই সেবা গ্রহণের জন্য গুগলকে কোনও ফি দিতে হবে না।
    লেনদেনের মাধ্যম যেহেতু সম্পূর্ণ ডিজিটাল, তাই এর জন্য ব্যাংকে যাওয়ার দরকার নেই।
    চিরাচরিত ব্যাংকিং ট্রান্সফার সিস্টেমগুলোর তুলনায় গুগল পে’তে ফান্ড ট্রান্সফার অধিক দ্রুত গতির।
    গুগল পে’র আওতার মধ্যে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের মত যাবতীয় ইউটিলিটি বিল এবং মোবাইল রিচার্জ অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
    এতে আছে বিভিন্ন উপলক্ষে ক্যাশব্যাক এবং ব্যবহারের উপর রিওয়ার্ড পয়েন্টের সুবিধা। এই পয়েন্টগুলো সেবার ব্যবহারকে আরও লাভজনক করে তোলে।
    গুগল পে’র কিউআর কোড ফিচারটি ছোট-বড় সব ধরনের ব্যবসায়ীদের লেনদেনকে আরও সুবিধাজনক করে তুলবে। একদিকে গ্রাহকদের কাছ থেকে সহজে ও দ্রুত পেমেন্ট নেওয়া যাবে, অন্যদিকে হিসাবে অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

    গুগল পে ব্যবহার পদ্ধতি
    প্রথমে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে গুগল প্লে থেকে গুগল পে অ্যাপটি ইন্স্টল করে নিতে হবে।
    এরপর অ্যাপ ওপেন করে গুগল অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করতে হবে।
    অতঃপর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ডেবিট কিংবা ক্রেডিট কার্ডের তথ্যাদি নির্ভুলভাবে সংযুক্ত করতে হবে।
    সবশেষে কাজ হচ্ছে একটি গোপন পিন এবং বায়োমেট্রিক সুরক্ষা সেট করা।
    এভাবে সেটাপ সংক্রান্ত ধাপগুলো সম্পন্ন হলে সিস্টেমটি লেনদেনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। কম সময়ে লেনদেনের জন্য কিউআর কোড সেট করে নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া এর জন্য ফোন নাম্বারও ব্যবহার করা যায়।

    শেষাংশ
    বাংলাদেশে গুগল পে-এর এই যাত্রা দেশের ভবিষ্যতমুখী আর্থিক পরিমণ্ডল গঠনে এক বিশাল পদক্ষেপ। প্রযুক্তির এই সূচনালগ্নে প্রথম দেশীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এর সাথে রয়েছে সিটি ব্যাংক। পরবর্তীতে অন্যান্য ব্যাংক যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে আরও প্রসারিত ও সহজলভ্য হবে গুগল পে। সর্বসাকূল্যে, এই নিরাপদ, দ্রুত গতি, ও ঝামেলাবিহীন লেনদেন ব্যবস্থায় রচিত হলো উন্নত জীবনধারায় মাইলফলক।

  • ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে ওয়াদা ভঙ্গ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার, বিক্ষোভের ডাক

    ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে ওয়াদা ভঙ্গ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার, বিক্ষোভের ডাক

    রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের ভিত্তিতে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার ‘জুলাই সনদ’ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে জুলাই গণ-ঐক্য। বুধবার (২৫ জুন) সরকারি ৩০ কর্মদিবস পূর্ণ হলেও ঘোষিত হয়নি বহু প্রত্যাশিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’। এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত ৮টায় রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে সংগঠনটি।

    গত ১০ মে, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের পর আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে সঙ্গে নিয়ে জাতির উদ্দেশে ঘোষণা দিয়েছিলেন আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করা হবে। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষ হলেও তা প্রকাশ না হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা।

    জুলাই গণ-ঐক্য এক বিবৃতিতে বলেছে, ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে গঠিত এই অন্তর্বর্তী সরকার যদি ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা না করে, তবে সেটা হবে স্পষ্ট বিশ্বাসঘাতকতা। এই সরকার ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগকে অসম্মান করছে।

    তারা আরও অভিযোগ করে, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই বিভিন্ন স্থানে জুলাই আন্দোলনের কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি’। এসব ঘটনার কোনো বিচার না হওয়াকেও আন্দোলনকারীরা সরকারের নীরব সহযোগিতা হিসেবে দেখছে।

    সংগঠনটির পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়েছে, জুলাই কোনো ক্যালেন্ডারের তারিখ নয়, এটা অন্যায়-ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার সর্বোচ্চ প্রতিরোধের গৌরবময় অধ্যায়। এই অধ্যায়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ দিতে হবে। না দিলে কঠোর কর্মসূচি আসবে, তার দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।

    পরে জুলাই সনদ ঘোষণা না করায় এবং প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের প্রতিবাদে ২৬ জুন বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় শাহবাগে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেয়া হয়

  • ইরানে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের প্রথম দল ফেরার পথে

    ইরানে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের প্রথম দল ফেরার পথে

    ইরানে ইহুদিবাদী ইসরাইলের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের প্রথম দল তেহরান থেকে গতকাল স্থানীয় সময় দুপুরের পর স্থলপথে পাকিস্তানের দিকে যাত্রা শুরু করেছে। ৯০ জনের যে দলকে প্রথমে সরিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছিল এ ২৯ সদস্য তাদেরই অংশ। ইরানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনজুরুল করিম এ তথ্য দিয়েছেন। এদিকে দূতাবাস সূত্র থেকে জানা গেছে, ২৯ সদস্যের এ দলে দু-তিনজন কিডনির রোগী, ১০-১২ জন নারী এবং দুগ্ধপোষ্য শিশুসহ নানা বয়সের কয়েকজন শিশুও রয়েছে। দূতাবাসের প্রোটকল সহকারী ইরানি ইমামউমিদওয়ারী এবং আবদুল কাদির তাহির দেখাশোনার জন্য এ দলের সাথে রয়েছেন

    যাত্রার প্রথম পর্বে বাসে করে দলটি প্রায় ২০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ইরানের চাবাহার সীমান্তে পৌঁছাবে। প্রথম পর্বের যাত্রা ২৫ ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সীমান্ত অতিক্রম করে তারা পাকিস্তানের গ্যাবদে পৌঁছাবে। সেখানে প্রত্যাবর্তনকারী দলটির থাকার জন্য পাঁচ তারা হোটেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্যাবদ থেকে সড়ক পথে পাকিস্তানে গোয়াধার বন্দরে দলটি যাবে এবং সেখান থেকে জাহাজে করে তাদের বন্দরনগরী করাচিতে নিয়ে যাওয়া হবে। পাকিস্তান সরকার এ দলের সদস্যদের ভিসার বদলে ল্যান্ডিং ভিসা দিয়েছে, যাতে তারা ৭২ ঘণ্টা পাকিস্তানে কাটাতে পারবে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জানান যে, প্রথম দলটি পাকিস্তানে পৌঁছানোর পর বাকি সদস্যদের স্বদেশে পাঠানোর বিকল্প পথ তারা খুঁজে দেখবেন। নয়া দিগন্তকে তিনি আরো জানান যে, ইরানের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির ওপর দূতাবাস নজর রাখছে। এক সপ্তাহের মধ্যে যদি বাণিজ্যিক বিমান চলাচল শুরু হয়ে যায় তা হলে হয়ত তৃতীয় দেশের মাধ্যমে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের পাঠানোর প্রয়োজন আর থাকবে না। এ ছাড়া যদি ইরানের পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি ঘটে তা হলে হয়ত বাংলাদেশীদের স্বদেশে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনও ফুরিয়ে যাবে।

    এদিকে ইরানের বৈদেশিক মুদ্রার বাজার এখনো চালু হয়নি। আগামী শনিবারের মধ্যে চালু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। যুদ্ধের আগে এক ডলারের বিনিময়ে ৮৫ হাজার তুুমান পাওয়া গেলেও এখন তা বেড়ে ৯৬ হাজারে ঠেকেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ঠিকভাবে চালু হলে এই মার্কিন মুদ্রার বিনিময় মূল্য কী দাঁড়ায় তা বোঝা যাবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরপর ডলারের দাম বাড়তে বাড়তে এক লাখের ঘর পার হয়ে গিয়েছিল। এদিকে তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে আলোচনা শুরুর পর একদিনে ডলারের দাম প্রায় ২০ হাজার তুমান কমে ৮৬ হাজার তুমানে এসে ঠেকেছিল।

  • নতুন দুই দিবস ঘোষণা সরকারের

    নতুন দুই দিবস ঘোষণা সরকারের

    ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের সূচনাদিবস ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ এবং আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্র আবু সাঈদের স্মরণে ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।

    বুধবার (২৫ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পৃথক দুটি পরিপত্র জারি করে দিবস দুটির সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

    পরিপত্রে বলা হয়, প্রতি বছর যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবস দুটি পালনে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    জানা গেছে, দিবস দুটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্রের ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে।

  • এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু আজ

    এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু আজ

    ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু আজ বৃহস্পতিবার। সকাল ১০টায় এইচএসসির বাংলা প্রথমপত্রের মাধ্যমে শুরু হবে লিখিত পরীক্ষা, যা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

    পরীক্ষার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিশেষ নজরদারি চালানো হবে।
    সূত্র জানায়, এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ছয় লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন এবং ছাত্রী ছয় লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন। এর মধ্যে সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী প্রায় ১০ লাখ ৫৫ হাজার, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষার্থী ৮৬ হাজারের বেশি এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৯ হাজারের বেশি।

    এবার দুই হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে এসব পরীক্ষা হবে। গত বছর এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৩ জন পরীক্ষার্থী। সে অনুযায়ী এ বছর পরীক্ষার্থী কমেছে ৮১ হাজার ৮৮২ জন।
    পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা, ওএমআর শিটে সঠিকভাবে তথ্য পূরণ, উত্তরপত্র না ভাঁজ করা এবং মোবাইল ফোন কেন্দ্রের ভেতরে না আনার বিষয়ে কঠোর নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।

    ২০২৬ সালের পরীক্ষা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত : আগামী বছরের এইচএসসি, আলিম ও সমমান পরীক্ষা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচি অনুযায়ী এ পরীক্ষা হবে। গতকাল বুধবার এনসিটিবির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রবিউল কবির চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

  • সোহরাওয়ার্দী কলেজে ছাত্রশিবিরের পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ

    সোহরাওয়ার্দী কলেজে ছাত্রশিবিরের পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ

    সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রতিনিধি:

    সবুজ ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গঠনে পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখার উদ্যোগে আজ কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো “বৃক্ষরোপণ অভিযান ২০২৫”।

    অনুষ্ঠানে কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় ফলজ, বনজ এবং ঔষধি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে সবুজায়নের যাত্রা শুরু হয়। কর্মসূচিটি ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিলো উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং সচেতনতার প্রকাশ।

    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি হাফেজ দেলওয়ার হোসেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “আমরা শুধু গাছ রোপণ করছি না, বরং একটি নিরাপদ, সুস্থ ও টেকসই ভবিষ্যতের বীজ বপন করছি। প্রতিটি গাছই হতে পারে একটি জীবনরক্ষাকারী শক্তি।” তিনি আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী একটি বাসযোগ্য নগরীতে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা উচিত। অথচ ঢাকা শহরে এই অনুপাত ৬ শতাংশের নিচে, যা ভবিষ্যতে জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে দেখা দিতে পারে।

    তিনি এই উদ্যোগকে সময়োপযোগী উল্লেখ করে বলেন, বৃক্ষরোপণ শুধু তাৎক্ষণিক একটি কর্মসূচি নয়, এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ—পরিবেশ রক্ষা, বায়ু বিশুদ্ধকরণ এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ উপায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরাও নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেন এবং এ ধরনের কর্মসূচিকে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা জাগরণের অনন্য উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।

    আয়োজক শাখার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ছাত্রশিবির ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম গ্রহণ করবে। এর মধ্যে রয়েছে পরিচ্ছন্নতা অভিযান, পরিবেশ সচেতনতা ক্যাম্পেইন এবং ইকো-লিটারেসি ভিত্তিক ওয়ার্কশপ আয়োজনের পরিকল্পনা।

     

     

  • এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পাশে থাকতে নেতাকর্মীদের যেসব নির্দেশনা দিল ছাত্রদল

    এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পাশে থাকতে নেতাকর্মীদের যেসব নির্দেশনা দিল ছাত্রদল

    আগামী বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) থেকে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষা। এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পাশে থাকতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

    মঙ্গলবার (২৪ জুন) ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সকল জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌর ও কলেজ ইউনিটের নেতাকর্মীদের প্রতি জরুরি নির্দেশনা

    এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অভিভাবকদের পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে মারাত্মক ধকল পোহাতে হতে পারে। এ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা প্রদান করা হলো-

    পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রচলিত নিয়ম মোতাবেক পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে নিয়মানুযায়ী যথাযথ দূরত্ব বজায় রেখে অভিভাবকদের জন্য পানি ও স্যালাইন সরবরাহ এবং ছায়ার মাঝে বিশ্রামের ব্যবস্থা করার যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে; পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে জরুরি চিকিৎসা ও ঔষধের ব্যবস্থা করতে হবে, এজন্য পরবর্তী পরীক্ষা থেকেই ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন; পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনে কলম, স্কেল ও পেনসিলের ব্যবস্থা করতে হবে।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই নির্দেশনা প্রদান করেন এবং নেতাকর্মীদের যথাসাধ্য অভিভাবকদের পাশে থাকার আহ্বান জানান। একইসাথে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের কোনোভাবেই গেটে জটলা না করা, কেন্দ্র থেকে নিয়মানুযায়ী দূরত্ব বজায় রেখে হেল্প ডেস্ক স্থাপনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

  • যাচাই-বাছাই ছাড়াই মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ: দুদক

    যাচাই-বাছাই ছাড়াই মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ: দুদক

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহর মঙ্গলবারের একটি পোস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। পোস্টটিতে তিনি যাচাই-বাছাই ছাড়াই কমিশনের মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেছেন বলে দুদক দাবি করেছে।

    মঙ্গলবার রাতে দুদকের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    এ বিষয়ে দুদকের বক্তব্য, একটি প্রতারকচক্র দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক বা কর্মকর্তা পরিচয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের কথা বলে প্রতারণা করে আসছে। যার সাথে দুদকের কর্মকর্তাদের কোন সম্পর্ক নেই। দুদক ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং প্রতারক চক্রের অনেককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

    ইতোপূর্বে দুদক প্রতারণা রোধে সবাইকে সতর্ক করে আসছে। যা বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

    দুদক জানায়, এরূপ প্রতারণার শিকার হয়ে অনেকে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুদককে দোষারোপ করে, যার ফলে দুদকের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। দুদক কর্তৃক যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত অনুসন্ধান বা তদন্ত চলাকালে দুদকের কোন কর্মকর্তা যেকোনো অনৈতিক প্রস্তাব দিলে তা দুদককে জানানো সকলের নৈতিক দায়িত্ব।

    সংস্থাটি জানায়, দুদকের কোন কর্মকর্তার পক্ষ থেকে কারো কাছে থেকে টাকা চাওয়া হলে কিংবা এ সংক্রান্ত বিস্তারিত ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য অথবা প্রতারণা বা অনিয়মের কোন তথ্য পাওয়া গেলে দুদকের টোল ফ্রি হটলাইন-১০৬ নম্বরে অথবা chairman@acc.org.bd এই মেইলে জানালে ব্যবস্থা নেয়া সহজ হবে। এ ধরণের অভিযোগ যাতে সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান বা তদন্তে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব ফেলতে না পারে তার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে। এছাড়াও প্রতারণামূলক কোন ফোন কল, বার্তা বা ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে জানানোর অথবা নিকটস্থ দুদক কার্যালয় বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

    এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতুর কাছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তা ঘুস চেয়েছেন বলে দাবি করেছেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমরা দুদকের এই দুর্নীতির বিচার চাই। আমলাদের এক লাখ টাকার চা খাওয়ানোর জন্যই কি জুলাইতে বাংলাদেশের মানুষ জীবন দিয়েছিল?’

    মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ দাবি করেন হাসনাত। ওই পোস্টের সঙ্গে তিনি তিনটি ভিডিও ক্লিপ যুক্ত করেছেন।

    ‘স্বাধীন বাংলাদেশে দুদকের চা খাওয়ার বিল ১ লাখ টাকা’ শিরোনামে পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘আপনার নামে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ না থাকলেও সেটার ক্লিয়ারেন্স নিতে আপনাকে এক লাখ টাকা দিতে হবে। সম্প্রতি মাহমুদা মিতুর কাছে থেকে এই টাকা চাওয়া হয়েছে দুদকের ডিজি আকতার আর তার ডিডি পরিচয়ে। মাহমুদা মিতুকে বলা হয় আপনি একজন ডাক্তার, আপনার তো টাকা-পয়সার অভাব থাকার কথা না। আপনি এক লাখ টাকা দিয়ে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে যান।’

    তিনি লেখেন, ‘দুদকের সর্বনিম্ন রেট নাকি এক লাখ টাকা। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আকতার আবার ফোন দিয়ে জানতে চান টাকা দেবে কি না? টাকা না দিলে নাকি খবর করে ছেড়ে দেওয়া হবে। রেড ক্রিসেন্টে মাহমুদা মিতু যোগ দিয়েছেন ৫ আগস্টের পরে। দুদক এখন তদন্ত করছে আওয়ামী লীগের সময়ের দুর্নীতি নিয়ে।’

    হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘অথচ হাস্যকরভাবে আওয়ামী আমলের কর্মকর্তাদের নাম না দিয়ে তখনকার দায় চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এখনকার লোকজনের ওপর। এখানে বড় অঙ্কের টাকার লেনদেনের সমূহ সম্ভাবনা আছে। কিছু না করাদের কাছে থেকেই যদি এক লাখ করে নেয়, আওয়ামী লীগ আমলের কর্মকর্তাদের থেকে তাহলে কত করে নিয়েছে?’

    এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘দুদকের এসব কাজকারবার এই প্রথম না। শেখ হাসিনার আমলে খালেদা জিয়াসহ বিরোধী দলের বহু নেতাকে এরা হয়রানি করেছে। অথচ আওয়ামী লীগের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়ে এরা কিছুই বলেনি। আমরা আশা করেছিলাম, ৫ আগস্টের পর এদের মধ্যে পরিবর্তন আসবে। কিন্তু আসেনি। বরং এরা এখন চা খাওয়ার জন্য এক লাখ করে টাকা চাওয়া শুরু করেছে। মাহমুদা মিতু সাহস করে ভিডিও করে রেখেছেন, অন্যায় ঘুস দেন নাই। কিন্তু কত সাধারণ মানুষ এদের এই চায়ের বিল দিতে বাধ্য হয়েছে জানা নেই।’

    তিনি আরও লেখেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার- মাহমুদা মিতু কেন, যদি আমার নামেও এক পয়সা দুর্নীতির অভিযোগ আসে, সেটা মানুষের সামনে প্রকাশ করে দিন। কাউকে ফোন করারও দরকার নেই, দুর্নীতি পেলেই সেগুলো প্রকাশ করে মামলা করে দেন। আইনের হাতে তুলে দেন। তা না করে নিরীহ লোকজনের ওপরে এই চাঁদাবাজি কেন করছেন? কেন চা খাওয়ার বিল চান, কেন টাকা না দিলে হুমকি দেন? ফ্যাসিবাদের পতনের পর আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ চাই।’

    হাসনাত বলেন, ‘শেখ হাসিনার করে যাওয়া দুর্নীতির পথে যেন আর কেউ না যেতে পারে সেজন্য দুদককেও আমরা নতুন রূপে দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নতুন বাংলাদেশেও দুদক সেই পুরোনো পথেই হাঁটা শুরু করেছে। আমলাতন্ত্র আবারও বিষদাঁত নিয়ে কামড় বসাতে হাজির হয়েছে। এই বিষদাঁত ভাঙতে না পারলে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন হেরে যাবে, আমরাও হেরে যাবো। আমরা দুদকের এই দুর্নীতির বিচার চাই। আমলাদের এক লাখ টাকার চা খাওয়ানোর জন্যই কি জুলাইতে বাংলাদেশের মানুষ জীবন দিয়েছিল?’