জানা গেছে, ঘটনার সময় মির্জা ফখরুল ছাড়াও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারাও সঙ্গে ছিলেন। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসার সময় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উচ্চস্বরে স্লোগান ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এমনকি আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে ডিম ছোড়ার ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কর্মী মিজানকে নিউইয়র্ক পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে।
এ সময় সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আওয়ামী সমর্থকদের বাধা উপেক্ষা করে সাহসিকতার সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবকে নিরাপদে গাড়িতে তুলে দিচ্ছেন এক যুবক। পরে জানা যায়, ওই যুবক হলেন সিলেট মহানগরীর শাবিপ্রবি এলাকার বাসিন্দা মারুফ রহমান। তিনি দেশে থাকাকালে সিলেট মহানগর শিবিরের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকা শাখার সভাপতি ছিলেন।
ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তাকে নিয়ে প্রশংসার বন্যা। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক এবং সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ তার এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘বিএনপির উচিত সাহসী মারুফ রহমানকে বীরোচিত সংবর্ধনা দেওয়া।’
তাকে কেন্দ্র করে সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনেও আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, রাজনৈতিক মতাদর্শ যেমনই হোক, এমন পরিস্থিতিতে একজন নেতা বা সফরসঙ্গীর নিরাপত্তায় এগিয়ে আসা প্রশংসার দাবি রাখে।
প্রসঙ্গত, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচজন রাজনৈতিক উপদেষ্টার সফরের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন মির্জা ফখরুল, জামায়াতের সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, এনসিপির আখতার হোসেন, তাসনিম জারা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির।
সফরের শুরুতেই নিউইয়র্কে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে প্রবাসী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-জামায়াত সমর্থকদের মধ্যে। তবে কোনো বড় ধরনের সংঘর্ষ না হলেও পরিস্থিতি ছিল বেশ টানটান।
Leave a Reply