রাশেদ খান বলেন, ‘আমাদের ছাত্র সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিল আসিফ মাহমুদ। ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে আমাদের সঙ্গে রাজপথের সব লড়াই-সংগ্রামে ছিল সে। এমনকি সেসময় অনেক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাকে।’=
তিনি আরও বলেন, ‘আসিফের সঙ্গে আমাদের আলাপ চলছে। এর আগেও সে গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। দলে তাকে সম্মানজনক পদ দেওয়া হবে। এ নিয়ে তার সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। খুব শিগগিরই বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। তবে তাকে আমরা যেকোনো মূল্যে দলে ফেরাতে চাই।’
এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বিকেলে সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন। তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন করব, এটা নিশ্চিত। যে দল থেকেই নির্বাচন করি সেটা পরে জানানো হবে।’
জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার উদ্দেশ্যে উপদেষ্টার পদ ছাড়েন আসিফ মাহমুদ। রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা রয়েছে, তিনি ঢাকা-১০ আসন (ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট ও হাজারীবাগ) থেকে নির্বাচন করতে পারেন। ইতোমধ্যে তিনি এ আসনের ভোটারও হয়েছেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে তিনজন সরকারে জায়গা পান। তাদের মধ্যে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রথমে শ্রম উপদেষ্টা এবং পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।





















Leave a Reply