শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল ২টা ৪২ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
পোস্টে প্রেস সচিব লেখেন, ‘গত রাতে দ্য ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোতে কর্মরত আমার সাংবাদিক বন্ধুদের কাছ থেকে সাহায্যের জন্য আতঙ্কিত, অশ্রুসিক্ত ফোন কল পেয়েছিলাম। আমার সব বন্ধুদের কাছে আমি গভীরভাবে দুঃখিত, আমি তোমাদের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছি। তোমাদের সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য ফোন করেছি, কিন্তু সেই সহায়তা সময়মতো পৌঁছায়নি।’
তিনি লেখেন, ‘দ্য ডেইলি স্টার ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সব সাংবাদিককে উদ্ধারের পর ভোর ৫টায় আমি ঘুমাতে যাই। কিন্তু ততক্ষণে এই দুটি সংবাদমাধ্যম দেশের ইতিহাসে গণমাধ্যমের ওপর সংঘটিত অন্যতম ভয়াবহ হামলা ও অগ্নিসংযোগের সাক্ষী হয়ে গেছে।’
সাংবাদিকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে শফিকুল আলম লেখেন, ‘আমি জানি না কোন শব্দ দিয়ে তোমাদের সান্ত্বনা দেব। একজন সাবেক সাংবাদিক হিসেবে শুধু বলব, আমি দুঃখিত। লজ্জায় মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছি।’
এদিকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় পত্রিকা দুটির সম্পাদকদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় সরকার পত্রিকা দুটির পাশে আছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘আপনাদের প্রতিষ্ঠান ও সংবাদকর্মীদের ওপর এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও ন্যক্কারজনক হামলা আমাকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। আপনাদের এই দুঃসময়ে সরকার আপনাদের পাশে আছে।’
Leave a Reply