বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন শাহাদাত গ্রুপের জাহিদ ও রাজু এবং ইমন গ্রুপের সাদ্দাম হোসেন পাটোয়ারী।
আহত সাদ্দাম অভিযোগ করে বলেন, ঢাকা মেডিকেলে প্রথম এবং দ্বিতীয় মারামারির ঘটনায় আমি ছিলাম না। রাজনৈতিক কাজে থানার সামনে গিয়েছিলাম। সেখানে পুলিশ দুইজনকে ধরে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমি তাদের পুলিশের হাত থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছিলাম। এ সময় শাহাদাত গ্রুপের লোকজন হঠাৎ হামলা চালায়। এতে আমার মাথায় একটি ধারালো অস্ত্রের একটি কোপ লাগে। ধারালো অস্ত্রের কোপে আমার মাথায় পাঁচটি সেলাই পড়েছে। এর আগে শাহাদাত গ্রুপ হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির অফিসের ভেতরে ঢুকে ইমনসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে ও মারপিট করে আহত করে।
অন্যদিকে শাহাদাত গ্রুপের দাবি, প্রথমে ইমন গ্রুপ তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে ঘটনাটি কেন্দ্র করে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে ফের সংঘর্ষ হয়।
শাহাদাত গ্রুপের শাহাদাত বলেন, রাতে জরুরি বিভাগের সামনে বিল্লাল, সুমন, নাসির,ইমন, দুলাল শাফিনসহ আরও বেশ কয়েকজন নওশাদকে বেধড়ক মারপিট করেন। পরে আমরা সমিতি ঘরে গিয়ে তাদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে সেখানে আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমরা শাহবাগ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ দিয়ে আমরা শাহবাগ মোড়েই দাঁড়িয়ে ছিলাম। এর মধ্যে সাদ্দাম সহ ১৫-২০ জন জাহিদ ও রাজুকে বেধড়ক মারপিট করে। এই ঘটনার সূত্রপাত আমরা ঘটাইনি তারা ঘটিয়েছে প্রথমে ঢামেকে পরে শাহবাগ থানার সামনে।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম বলেন, প্রথমে ঢাকা মেডিকেলে মারামারি হয়। পরে থানার সামনে ফের সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এ ঘটনায় শাহবাগ থানার সামনে ও ঢাকা মেডিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
Leave a Reply