ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি। কথা ছিল, জনপ্রতিনিধি হয়ে রুখবেন অন্যায়-অনাচার। কিন্তু সব থেমে গেল সন্ত্রাসীদের একটি গুলিতে। দেশি-বিদেশি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে টানা সাতদিনের লড়াই শেষে নিথর দেহে দেশে ফিরছেন হাদি। তার লাল-সবুজের কফিন যেন এক অসমাপ্ত প্রতিশ্রুতি, তবে তিনি দেশবাসীর জন্য রেখে গেলেন অদম্য সাহস, প্রতিবাদ ও বিদ্রোহ।
হাদির লাশবাহী কফিন নিয়ে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করা হয়। এতে লেখা ছিল, ‘হারাম খাইয়া আমি এত মোটাতাজা হই নাই, যাতে আমার স্পেশাল কফিন লাগবে! খুবই সাধারণ একটা কফিনে হালাল রক্তের হাসিমুখে আমি আমার আল্লাহর কাছে হাজির হবো।’ এটি তিনি গুলিবিদ্ধ হওয়ার আগে করেছিলেন।
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া হাদির মরদেহ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় দেশে পৌঁছাবে। স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে হাদির লাশবাহী ফ্লাইট সিঙ্গাপুর ছাড়বে। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে অবতরণের কথা রয়েছে। শনিবার জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে আসা ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে তিনি মারা যান।
Leave a Reply